জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ২৭ মার্চ ২০২৩ , ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ
স্বাস্থ্য সচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুস্থ না থাকলে শরীর, মন কিছুই ভালো থাকে না। স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ে, ইবাদতেও মন বসে না। অনেক সময় অসুস্থ থাকার কারণে ইবাদত করাও সম্ভব হয় না। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহিত করেছেন।
এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো, কেননা মহান আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। তবে একটি রোগ আছে, যার কোনো প্রতিষেধক নেই, তা হলো বার্ধক্য।’ (আবু দাউদ)।
অসুস্থ হলে চিকিৎসা গ্রহণ করা ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা রোগ দেন, রোগের প্রতিষেধকও নাজিল করেন। প্রতিটি রোগের চিকিৎসা রয়েছে।’ (জাদুল মাআদ)।
তাই যেকোনো অসুস্থতায় দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ এবং এ সম্পর্কিত ইসলামী বিধান জেনে নেওয়া উচিত। রোজা রেখে অনেক সময় চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। অনেককে দাঁতের ডাক্তারের কাছে যেতে হয়, দাঁত উঠাতে হয়। তাই কারো কারো মনে প্রশ্ন জাগে রোজা রেখে দাঁতের চিকিৎসা করা যাবে কিনা, অথবা দাঁতের চিকিৎসা করালে রোজা ভেঙ্গে যাবে কিনা।
এমন পরিস্থিতিতে আলেমরা বলেন, রোজা অবস্থায় দাঁতের চিকিৎসা নেওয়া জায়েজ আছে। তবে শর্ত হলো, চিকিৎসার সময় যেন রক্ত কিংবা সেখানে ব্যবহৃত পানি বা ঔষধের কোনো অংশ পেটের ভেতরে প্রবেশ না করে। যদি পানি বা রক্ত পেটের ভেতরে প্রবেশ করে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কাজেই এক্ষেত্রে করণীয় হলো, সন্ধ্যার পর চিকিৎসা কারানো।
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বাযকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যদি কোন ব্যক্তি দাঁতে ব্যথা নিয়ে দন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় এবং ডাক্তার তার দাঁতে স্কিলিং করে, অথবা ফিলিং করে অথবা কোন একটি দাঁত ফেলে দেয়- এতে করে কি তার রোজার ক্ষতি হবে? যদি ডাক্তার তার দাঁত অবশ করার জন্য ইনজেকশন দেয় সেক্ষেত্রে রোজার উপর এর কোন প্রভাব আছে কি?
উত্তরে তিনি বলেন, প্রশ্নে যা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে রোজার উপর এর কোন প্রভাব নেই। বরং এটি করা যেতে পারে। তবে এ রোগীকে ঔষধ বা কোন কিছু গিলে ফেলা থেকে সাবধান থাকতে হবে। অনুরূপভাবে যে ইনজেকশনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে রোজার শুদ্ধতার ক্ষেত্রে সেটারও কোন প্রভাব নেই। যেহেতু এ ইনজেকশন পানাহারের পর্যায়ে পড়ে না এবং রোজাভঙ্গকারী কিছু সাব্যস্ত না হলে রোজা শুদ্ধ হওয়াটাই মূল বিধান।
(আদ্দুরুল মুহতার, হাশিয়াতু ইবনে আবিদিন, ২/৩৯৬, ইসলাম সুওয়াল ওয়া জাওয়াব)