জাগোকন্ঠ 13 July 2022 , 7:45 am
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে গতকাল থেকে খুলেছে অফিস-আদালত। ধীরে ধীরে রাজধানী ঢাকা ফিরে পাচ্ছে তার পুরোনো রূপ। ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে আজও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, ব্যস্ততার কারণে যারা ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি তারা এখন ঢাকা ছাড়ছেন। যদিও তাদের সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। আবার অনেকে ঢাকা ছাড়ছেন কর্মস্থলে যোগ দিতে।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ীর দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
নোয়াখালীগামী ইকোনো পরিবহনের ফয়সাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ঈদের সময় অফিস ডিউটিতে ছিলাম। তাই বাড়ি যেতে পারিনি। কাল রাতে ছুটি মঞ্জুর হয়েছে। আজ বাড়ি যাচ্ছি।
কাউন্টারে বাসের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ। অসুস্থতার কারণে ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। তাই এখন যাচ্ছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনুপ সরকার আকাশ। টাঙ্গাইলে পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ফিরছেন ক্যাম্পাসে। তিনি বলেন, ক্যাম্পাস খুলবে ১৭ জুলাই। তাই আরও কিছুদিন থাকার ইচ্ছে ছিল। তবে টিউশনি থাকায় আগে আগেই যেতে হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন পরিবহনে কক্সবাজার যাচ্ছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সোহরাব হোসেন। তার বাড়িও টাঙ্গাইলে। সোহরাব বলেন, টাঙ্গাইলে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেছি। ঈদের ছুটি শেষ, তাই কর্মস্থলে ফেরত যাচ্ছি।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী শ্যামলী কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা সুমন আহমেদ বলেন, যাত্রীর চাপ নেই। সকাল থেকে ১০টার মতো গাড়ি ছেড়েছে। তবে প্রতিটি বাসই ফাঁকা ছিল। এখন যাত্রীদের ঢাকায় আসার তাড়া। সে কারণে ঢাকা ছাড়তে যাওয়া মানুষের চাপ কম।
সৌদিয়া পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মোহাম্মদ রাহাত বলেন, সকাল থেকে তিনটি ট্রিপ ঢাকা ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ২০-২২ জন করে যাত্রী ছিল। এখন ঢাকার বাইরে যাওয়া যাত্রীদের চাপ নেই।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারে কর্মরত নজরুল ইসলাম বলেন, ১৫টি গাড়ি ছেড়ে গেছে সকাল থেকে। ভোরের গাড়িগুলো আসন পূরণ করেই গেছে। টিকিট বিক্রি হয়েছে মোটামুটি। তবে যাত্রীর যে চাপ ছিল, তা বলা যাবে না।