শিক্ষা

বেতন-ভাতার দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষকদের লাগাতার কর্মসূচি

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ৩০ এপ্রিল ২০২৩ , ২:০৬ অপরাহ্ণ

দীর্ঘ ৩৪ মাস বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় রাজধানীর আগারগাঁও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা।

রোববার (৩০ এপ্রিল) অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৭৭৭ জন শিক্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, ২০১০ সালের জুলাই মাসে সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়ন ও শিক্ষক স্বল্পতা দূরীকরণে ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহান্সমেন্ট’ (স্টেপ) নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পটি দুই ধাপে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চালু ছিল। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ওই বছরের ৩০ জুন প্রকল্পের জনবল দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পরিপত্র জারি করা হয়।

dhakapost

নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ধাপ সম্পন্ন করে ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর নিয়োগপত্র পান বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৭৭৭ জন শিক্ষক। যাদের সরকারি চাকরির বয়স ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলেন, প্রকল্প শেষে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে ২০১৯ সালের ২২ মে অনুমতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের থোক বরাদ্দ থেকে ২০১৯- ২০২০ অর্থবছরে বেতন ভাতাদিও প্রদান করা হয়। যা ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলমান ছিল। অথচ বর্তমানে অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ রয়েছে। আমাদের জানা মতে, শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের ফাইলটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে রয়েছে।

তারা বলেন, আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অনেকে বেতন না পাওয়ায় বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না ও সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারছেন না। যতদিন পর্যন্ত  দাবি আদায় না হয়, ততদিন আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করে বেতন-ভাতা পরিশোধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। দ্রুত তাদের রাজস্ব খাতে আত্তীকরণেরও দাবি জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বেতন-ভাতার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ফেডারেশন ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (কারিগরি শাখা বাংলাদেশ) সংগঠনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

আরও খবর: