দেশজুড়ে

” কোডেক্স এডভাইজরী কর্মশালা “

  জাগোকন্ঠ ১৯ মার্চ ২০২৩ , ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

ফেরদৌস ওনু:

সাধারণত দেহকে কর্মক্ষম ও সুস্থ্য রাখার উপাদান সমূহই খাদ্য। প্রাণী দেহের শক্তি উৎপাদন, বৃদ্ধি,ক্ষয়পূরণ এবং রোগ প্রতিরোধ করে দেহের যে সব উপাদান পুষ্টি জোগায় তাই খাদ্যদ্রব্য।

খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বোরহান উদ্দিন বলেন,ভোক্তা অধিকার বা গ্রাহকদের অনিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভোক্তার নিরাপদ খাদ্য অধিকার হলো কোডেক্স এডভাইজরী। এই এডভাইজরী ম্যান্ডেটরি হয়ে যায় তখনই যখন খাদ্য এক্সপোর্ট করতে যায় কতৃপক্ষ তখন অপটিমাম মেইনটেইন করে তা নিখুঁতভাবে বিএসটিআই কর্তৃক বিএফএসএ এর সমন্বয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তা দিয়ে মানুষকে তা উৎসাহিত করে। -বলছিলেন জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড.বোরহান উদ্দিন ।

তিনি আরও বলেন, সাইন্স, টেকনোলজি এবং ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড, রিজিওনাল স্টান্ডার্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড এ তিন ধরনের নিয়মনীতি মেনে মিনিমাম,ম্যাক্সিমাম স্ট্যান্ডার্ড মানতে হবে নাহলে আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী হবে খাদ্য কতৃপক্ষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার পিআইবি সেমিনার হলে “কোডেক্স এলিমেন্টারিয়াস ” কর্মশালায় অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন ” FAO-MUCH ” project বিশেষজ্ঞ বলেছেন,এক গ্লোবাল ভিলেজে বসবাস করে আমারা সবাই উপলব্ধি করছি কোডেক্স কিভাবে মানুষের জীবন কে সচেতন করতে কাজ করে -১৯৭৫ সালে খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা ও স্ট্যান্ডার্ড যখন তৈরি হয় তখন বিশ্বের কোন নিয়মনীতি আমারা না মেনে নিজেদের প্রয়োজনেই বাংলাদেশের খাদ্যের ব্যাবসা বাণিজ্যে-আমদানি রপ্তানিতে ১৮৯ দেশকে সার্কুলেট করে মিটিং ডাকা হয়। বিএসটিআই অনুমোদিত স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলতে যাতে বাধ্য হয় ।

মোডিফিকেশন ওয়েস্টার পিওপল ফুড স্ট্যান্ডার্ড হারমোনাইজেশন ফুডের কারা করবে ফলোআপ এমনটাও এ বিশেষজ্ঞ বলেন। একটি একাডেমি করে তার ১৬টি কমিটি তৈরি হয়। এগুলোর আন্ডারে ২০২২ সালে ১০৭টি দেশে ১৭০টি প্রোডাক্ট হেলথ কেয়ারের জন্য সেইফফুড চূড়ান্ত করতে হবে শীর্ষক আইন প্রনয়ন হয় একথাও খাদ্য নিরাপত্তার এ সেমিনারে উল্লেখ করেন তিনি। এটি গবেষণা করতে প্রিজারভেটিভ মেইনটেইন করতে পারে আমাদের দেশ।

২৬ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত করার জন্য কোডেক্সের নিয়ম-কানুন প্রচারের জন্য জরুরি ভূমিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম ও তাদের সাংবাদিকরা এ আহ্বান জানান ড. বোরহান। পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি হটলাইন চালু হয়েছে। ঢাকার রাস্তায় অধিকাংশ খাবারে ঝুঁকি রয়েছে, এগুলো প্রতিনিয়ত শিশুরা খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে এ বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে।

নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ সেসব বিষয়ে কতোটা দায়িত্ব পালন করছেন তার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণমাধ্যমের কাজ করার রয়েছে বলে পিআইবি মহাপরিচালক জানান। বাচ্চাদের হাইজিন সম্পর্কে ৬ বছরের নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৭ থেকে তৈরি সেটি নিয়ে জাফর ওয়াজেদ গাইড লাইন তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা বলে মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় করেন উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে।
বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা রেগুলেশন কোডেক্স এর খাদ্য নিরাপত্তা অথরিটির সদস্য মোঃ মনজুর মোর্শেদ আহমেদ বলেন,ফুড সেফটি অথরিটির রেগুলেটরি মেনে চলতে হবে সেক্ষেত্রে কোন ধরনের নোটিশ বা তথ্য থাকলে কৃষিজমিতে ক্ষতিকারক বিষের উপস্থিতি পেলে মোবাইল কোর্ট বা এর নিমিত্তে ১৩টি রেগুলেটরি মানুষের নজরে এলে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে তারা।

মোর্শেদ আরও বলেন, কোডেক্সের সাথে সমন্বয়হীনতা থাকলে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সমন্বয় করে ভারতীয় গ্লোবাল চেয়ারম্যান ” সন্জয় দেবে” প্রথম দফার মিটিং এর ১৭২ জন এক্সপার্টের সমন্বয়ে (২২-২৫ মার্চ) ” বিএআরসি” চূড়ান্ত প্রসিডিওর করে অবজারভেশন করলে ল-মিনিস্ট্রিতে রেগুলেশনটির সমন্বিত হালনাগাদ করা সম্ভব হবে এবং এর সুবিধা ভোগ করবে জনগণ। এ অথরিটি ইমপোর্ট ম্যাকানিজমেও বলবৎ থাকবে। সেমিনারে পিআইবি প্রশিক্ষক পারভীন সুলতানা লাকি তার বক্তব্যে কোডেক্স প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। কর্মশালায় ৩৮ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন।

আরও খবর: