জাগোকন্ঠ ৩০ আগস্ট ২০২২ , ৬:১৯ অপরাহ্ণ
দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র দৈনিক তৃতীয় মাত্রার সম্পাদক রবীন সিদ্দিকীর ৫৬তম জন্মদিন ৩০ আগস্ট। বিশেষ দিনটিতে ঘরোয়া আয়োজনে তার জন্মদিন পালন করা হয়েছে দৈনিক তৃতীয় মাত্রার কার্যালয়ে।
এদিন সকালে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের হাজী কুজরত আলী মোল্লাহ্ সুপার মার্কেটে অবস্থিত দৈনিক তৃতীয় মাত্রার কার্যালয়ে পৌঁছালে মূল ফটকে সম্পাদক রবীন সিদ্দিকীকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন দৈনিক তৃতীয় মাত্রার কর্মীরা। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জন্মদিন উপলক্ষে বেলুনসহ জন্মদিন উদযাপনের নানা উপকরণ দিয়ে সুসজ্জিত তার অফিস কক্ষে। সেখানে ‘শুভ জন্মদিন, রবীন সিদ্দিকী স্যার, সম্পাদক, দৈনিক তৃতীয় মাত্রা’ লেখাখচিত সুদৃশ্য কেক কেটে জন্মদিন উদযাপনের শুভ সূচনা করেন তিনি।
কেক কাটার পর অফিস সহকারী থেকে শুরু করে একে একে প্রত্যেক কর্মীকে নিজ হাতে কেক খাইয়ে দেন সম্পাদক রবীন সিদ্দিকী। পরে তাকেও কেক খাইয়ে দেন প্রত্যেক কর্মী। কেক খাওয়ার পর্ব শেষ হলে মিষ্টিমুখ করানো হয় কর্মীদের।
নিজের জীবনের বিশেষ দিনটিতে কর্মীদের পক্ষ থেকে জন্মদিনের আয়োজনে অভিভূত সম্পাদক রবীন সিদ্দিকী অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, জন্মদিন। খুব সুন্দর কথা। শুনতে খুব ভালো লাগে। অনেকে মনে করেন, আনন্দের দিন। কিন্তু আমি মনে করি, সবচেয়ে দুঃখের দিন। কারণ জন্মদিন মানে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়া। বয়সটা শেষের দিকে চলে যাওয়া।
আরেকটা জন্মদিন চলে এলেই মনে হয়, আমার আরেকটা পা কবরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য জন্মদিনে অতটা আনন্দ পাই না। যদি দুই বা তিন বছর পরপর আমার জন্মদিনটা আসতো তাহলে খুব ভালো হতো। তাহলে আর বলতে পারতাম না- আজকে ৫৫, আগামীতে ৫৬, তারপরে ৫৭, তারপরে মৃত্যু। এই বিষয়টা আর থাকতো না।
তারপরও সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সুস্থ থাকি। সুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করতে পারি। এটাই আল্লাহর কাছে চাওয়া। আমার তৃতীয় মাত্রা পরিবার আজকে যে আয়োজন করেছে তাতে সত্যিই আমি মুগ্ধ। তারা আমার জন্য এই আয়োজন করেছে।
আমার জন্ম থেকে একটাই ইচ্ছা- আমি ভালো একটা মিডিয়া হাউজ গড়ে তুলবো। মিডিয়ার জন্যই পুরো জীবনটা আমি এই পথে শেষ করেছি। জানি না, আমার পূর্ণাঙ্গ ইচ্ছাটা পূরণ হবে কিনা! (দৈনিক তৃতীয় মাত্রা) ভালো ও জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা হোক- এটাই আমি চাই। আমার সাথে যারা কাজ করছেন তাদের কাউকে কখনোই আমি স্টাফ মনে করি না। তাদের সবাইকে আমি আমার সহকর্মী মনে করি। আমি নিজেও কিন্তু একজন কর্মী হিসেবেই কাজ করি। এখনও আমার অফিসে রেকর্ড- আমি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর আগে অফিসে আসি। আমার আগে কেউ আসতে পারে না। আমি মনে করি যে, আমি একজন কর্মচারী। আমি তাদের মতোই কাজ করতে এসেছি।
নিজের জন্য আসলে কাজ করা লাগে না। আমি মনে করি না যে, আমার নিজের জন্য কাজ করতে হবে, নিজের জন্য খেতে হবে। আল্লাহ যা দিয়েছেন তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। আমি বসেই খেতে পারি। এখন যে কাজটি করছি তা শুধুই আমাদের সহকর্মীদের জন্য যারা কাজ করছে। তারা যেন ভালোমতো চলতে পারে, কাজ করতে পারে। আমি চলে গেলেও যেন প্রতিষ্ঠানটি চলে। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য যেন সুস্থ থাকি, ভালো থাকি। আল্লাহ হাফেজ।