অপরাধ

অন্যের সম্পত্তি দখল করে আছেন মন্ত্রনালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবা সুলতানা

  জাগোকন্ঠ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অবৈধভাবে অন্যের সম্পত্তি দখল করে আছেন ড. মাহবুবা সুলতানা পেশায় ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ান। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের এই কর্মকর্তার নামে অবৈধভাবে একটি ফ্ল্যাটের একাংশ অনেক বছর যাবত দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ২০০০-২০০৩ পর্যন্ত জনতা ব্যাংকে প্রাক্তন অফিসার ছিলেন।

(৩১ মে) ২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপিকা হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। এরপরে তিন বছর তাকে কোন কারণে কোথাও কর্মরত থাকতে দেখা যায়নি। ২০১৩ সালের (১৩ জুলাই) হঠাত তাকে ধামরাই গভমেন্ট কলেজ এর প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপিকা (২৮ মে) ২০১৭ পর্যন্ত কর্মরত থাকতে দেখা যায়। আবার দুই বছর তাকে কোথাও কর্মরত থাকতে দেখা যায়নি, হঠাৎ (২৮ জানুয়ারি) ২০১৯ থেকে তাকে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ে দেখা যায়। মিরপুরস্থ সেকশন-২, ব্লক-চ, এর ১১৫-১১৮নং আধাপাকা টিনশেড বাড়ির উপর ৮ম তলা নির্মিত ভবনের ষষ্ঠ তলা নির্মিত পূর্ব পাশের ১২৫০ বর্গফুট ৬/বি ফ্ল্যাটটি ক্রয় করে, যার মোট মূল্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিস অনুযায়ি ২১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা মাত্র। তারই পাশের ৬/এ ফ্ল্যাটটি ক্রয় করে মোঃ জাকারিয়া ফয়সাল ও সাবরিনা আফরোজ। মোঃ জাকারিয়া ফয়সাল পেশায় একজন শিক্ষক, তিনি বাংলাদেশ কমার্স কলেজে ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নরত তার স্ত্রী সাবরিনা আফরোজ পেশায় গৃহিণী।

ড. মাহবুবা সুলতানা ষষ্ঠ তলায় ওঠার প্রায় কয়েক বছর পর তাহারা ৬/এ এর পশ্চিম পাশের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেল রিসিট অনুযায়ী ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের নির্মিত ফ্ল্যাটটিতে অবস্থান নেয়। হঠাত করে নিচের বাসায় এক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন সাবরিনা সুলতানা, তার চোখে পরে তার ফ্ল্যাটের আয়তনের চেয়ে উক্ত ফ্ল্যাটটির আয়তন অনেক বড়। এই দীপ্তি কাশবন বাড়িটি তৈরি হয় দীপ্তি আবাসন লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে, তাহার সন্দেহ দীপ্তি আবাসনের কাছে বলে।

দীপ্তি আবাসন লিমিটেড এক সার্ভেয়ার এনে মেপে দেয় ১২৫০ বর্গফুট কিন্তু তাতেও তাহার সন্দেহ যায় নাই। তারা নিজেরা হাউজিং এর এক সার্ভেয়ার এনে মাপ দিয়ে দেখে তাদের ফ্ল্যাটের অংশ কম ৯১১.২৫ বর্গফুট। দীপ্তি আবাসনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন, ড. মাহবুবা সুলতানার স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম। তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে জোর করে অবৈধভাবে বাড়তি জায়গা দখল করে আছে, একজন হলো কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও আরেকজন হলো সরকারী ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। অবৈধ সম্পত্তি দখল সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহারে লিপ্ত রয়েছে ড. মাহবুবা সুলতানা।

ভুক্তভোগীরা উত্তর দীপ্তি কাশবন সোসাইটি মালিক সমিতির বিচার সালিশে রায় পায় যে, রায় লেখা আছে প্রথম পক্ষ অর্থাৎ জাকারিয়া ফয়সাল আর দ্বিতীয় পক্ষ ড. মাহবুবা সুলতানা মৌখিক জবানবন্দি চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করে দ্বিতীয় পক্ষের মাহবুবা সুলতানা এর পক্ষে তার প্রতিনিধি হিসেবে তাহার স্বামী নজরুল ইসলাম সাহেব প্রথম পক্ষের ১২৫০ বর্গফুট থেকে ১২০ বর্গফুট ড্রয়িং রুমের সাথে একত্র করে নিয়েছে তাহা স্বীকারোক্তি দেন। জাগোকণ্ঠে’র প্রতিনিধি ড. মাহবুবা সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোন কথা বলবো না, আপনার যা বলার আপনি বলেন,  এ বিষয়ে আপনারা কোম্পানির সাথে আলাপ করেন এই বলে কলটি কেটে দেয়ন।

আরও খবর: