জাগোকন্ঠ ৭ মার্চ ২০২৪ , ৩:৪১ অপরাহ্ণ
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন আওয়ামী নেতা বিরম্নদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর ব্যক্তির আয়োজিত সংবাদ সংম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনসহ প্রতিবাদ সভা করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ দুপুর) সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার এলুয়ারি ইউনিয়নের খাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন এলুয়ারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাজাপুর একরামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহসভাপতি আব্দুল ছালাম প্রামাণিক। লিখিত বক্তব্যে তিনি সংবাদিকদের জানান, গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘প্রতিবন্ধীর ওপর হামলা ও নির্যাতন বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়।
সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আমার সম্মানহানীসহ হেয়পতিপণ্ন করতে এলাকার মাদকাসক্ত, মাদক কারবারী তাজুল ইসলাম মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সে শিশু–কিশোরদের মাধ্যমে মাদক রি করে থাকে। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করায় সোমবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় আমাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি খবর পেয়ে আমাকে গালাগালাজের কারণ জানতে গেলে সে দুর্ব্যবহার করে।
এ সময় আমার ভাতিজা ও স্থানীয়রা তাকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে, ওইদিন সকাল ১০টায় আমি ও আমার ভাজিতা আসাদ প্রামাণিক জমি রেজিস্ট্রি দেয়ার কথা বলে তার কাছে ১ লাখ টাকা ধার চাওয়াসহ তাকে প্রাণনাশসহ বাড়ীতে হামলার হুমকির বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। তাজুল ইসলাম যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেটিও মাদক সিন্ডিকেটের পরিকল্পনা মাফিক। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়পতিপণ্ন করতে এলাকার মাদকাসক্ত, মাদক কারবারী তাজুল ইসলাম মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন গণমাধ্যমের কাছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, খাজাপুর একরামিয়া ফাজিল মাদ্রারাসার ২৫ শতক জমি তাজুল ইসলাম ক্রয় করে। কিন্তু আইনি জঠিলতার করণে তাকে জমিটি রেজিস্ট্রি দিতে পারছে না মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তবে জমিটি তার ভোগ দখলেই আছে যেহেতু জমি রেজিস্ট্রি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, সেহেতু বিষয়টি সমাধান করতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, খাজাপুর একরামিয়া ফাজিল মাদ্রারাসার সুপার মাহাবুবুর রহমান, বিআরডিবির সভাপতি মশিউর রহমান, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল মালেক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর আলী, খতিব হাফেজ কোরবার আলী, মিনহাজুল ইসলামসহ অর্ধশত বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সুধিজন। খাজাপুর একরামিয়া ফাজিল মাদ্রারাসার সুপার মাহাবুবুর রহমান বলেন, তাজুল ইসলাম ২০১৫ সালে মাদ্রাসার জমি ক্রয় করে। কিন্তু আইনী জঠিলতার কারণে জমিটি তাকে রেজিস্ট্রি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। জমিটি তৎকাল হতে অদ্যবধি সে ভোগদখল করে আসছে। অতিসত্ত্বর তাজুল ইসলামকে জমি ক্রয়ের মূল্য ফেরত দেয়া হবে।
উলেস্নখ্য, মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়ারি ইউনিয়নের পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী তাজুল ইসলাম তার ওপর ওপর হামলা ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।