আন্তর্জাতিক

‘আল্লাহ মোদিকে পাকিস্তানে দাও, দেশটাকে ঠিক করে দিক’

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। খাদ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, তবুও নেই সরবরাহ। পেট্রোল-ডিজেলের দাম প্রায় পাকিস্তানি মুদ্রায় তিনশোর কাছাকাছি। লোডশেডিং বেড়েছে কয়েকগুণ। বিদ্যুৎ বাঁচাতে সন্ধ্যা থেকেই বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে মার্কেট। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই এক পাক নাগরিকের দাবি, পাকিস্তানের এই দশা থেকে মুক্তি দিতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমনটাই দাবি করেছেন এক পাকিস্তানি নাগরিক।

ভিডিওতে পাক নাগরিক বলছেন, বাঁচতে চাইলে পাকিস্তান থেকে পালাও। চাইলে ভারত চলে যাও।  কখনও কখনও ভাবি যদি দেশ ভাগ না হতো তাহলে ভারতে যে দামে মানুষ আজ আটা, ডিম, জ্বালানি তেল কিনছেন সেই দামেই আমরা তা কিনতে পারতাম। আমার সন্তানদের তা খাওয়াতে পারতাম।

ওই ব্যক্তি বলেন, দেশভাগ না হলে আজ আমরা আজ ২০ টাকা কেজি দরে টমেটো কিনতে পারতাম, আল্লাহ আমাদের এমন এক দেশ দিয়েছেন যেখানে মুসলমানদের কোনও বৈশিষ্ট্যই নেই। এর থেকে তো ভালো মোদিজি। ওদের দেশের মানুষ ওকে কতটা মানে দেখুন। আমাদের না নাওয়াজ শরিফ চাই, না বেনজির ভুট্টো চাই, ইমরান খানকেও চাই না। আমাদের শুধু একজন মোদির মতো প্রধানমন্ত্রী চাই যিনি এই ট্যারা দেশটাকে সোজা করতে পারবেন। এখন ভারতের স্থান দুনিয়ায় ৫ নম্বরে। দেখুন উনি উনার দেশকে কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন।

ওই পাক নাগরিক আরও বলেন, আমি ভারতের শাসন মানতেও রাজী। মোদি সাহেব গ্রেট ম্যান। ভারতের মুসলমান এখন দেড়শো টাকায় পেট্রল-চিকেন কিনতে পারছেন তো। যখন রাতে আপনি আপনার বাচ্চার মুখে খাবার তুলে দিতে পারবেন না তখন তো আপনার মনে হবেই, এ কোথায় বাস করছি আমরা? অন্তর থেকে দোয়া করছি, আল্লাহ আমাদের  মোদিকে দাও যিনি আমাদের দেশ ৮ বছর শাসন করবেন আর দেশটাকে ঠিক করে দেবেন। এক সময় ভারতের সঙ্গে আমরা নিজেদের তুলনা করতাম। এখন তো সেই তুলনা চলেই না। ভারত অনেক উঁচুতে। এটা আমাদের মানতে হবে।

অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান সরকার। গত বছরের শেষ দিকে এ ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ইসলামাবাদকে ১ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ছিল আইএমএফের। কিন্তু পাক সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন নীতিগত ঝামেলার কারণে ঋণ ছাড় করেনি সংস্থাটি। আইএমএফ মূলত ব্যয় কমানোর শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এখন সেসব শর্ত ধীরে ধীরে পূরণ করছে পাকিস্তান।

সূত্র- জিনিউজ

আরও খবর: