আন্তর্জাতিক

মার্কিন সাবমেরিন আসার পরই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১৯ জুলাই ২০২৩ , ৩:৩১ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ ৪২ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ একটি সাবমেরিন। আর এ ডুবোজাহাজটি কোরীয় বন্দরে আসার কয়েক ঘণ্টা পরই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং বুধবার (১৯ জুন) সকালে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের পূর্ব সাগরে ছুড়েছে। জাপানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে জানিয়েছে, এগুলো জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের বাইরে পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়ুনহাপ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া নিউক্লিয়ার কনসালটেটিভ গ্রুপের (এনসিজি) প্রথম বৈঠকে মিলিত হওয়ার পরই নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এনসিজির লক্ষ্য হলো— দক্ষিণের ওপর যদি কোনো হুমকি আসলে, পারমাণবিকসহ সব সামরিক শক্তি ব্যবহার করে তাদের রক্ষা করা হবে।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এনসিজির বৈঠকের দিনই দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বন্দর নগর বুসানে নোঙর করেছে পারমাণবিক সাবমেরিন ইউএসএস কেন্টাকি। ১৯৮১ সালের পর যা দক্ষিণের মাটিতে মার্কিনিদের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন আসার ঘটনা।

সাবমেরিন আসা ও এনসিজির বৈঠকটি যে উত্তর কোরিয়া ভালোভাবে নেয়নি, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তারা সেটিই বুঝিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সিউলের ইয়ুহা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ের প্রফেসর লেইফ-এরিক এসলে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) উত্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে।

জেসিএস বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাদের এ কার্যক্রম কোরিয়া উপদ্বীপ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে। এছাড়া এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের রেজ্যুলেশনের পরিপন্থিও।’

জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠে ৫৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়। দ্বিতীয়টি ৫০ কিলোমিটার উপরে ওঠে ৬০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়।’

এক সপ্তাহ আগে উত্তর কোরিয়া তাদের সর্বাধুনিক কঠিন জ্বালানির হোয়াসোং-১৮ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। পিয়ংইয়ং জানিয়েছিল, এটি যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের প্রতি একটি সতর্কতা।

সূত্র: আল জাজিরা

আরও খবর: