দেশজুড়ে

জয়পুরহাটে ১১ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৫ ডেঙ্গু রোগী

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১২ জুলাই ২০২৩ , ৩:৩০ পূর্বাহ্ণ

শরীরে জ্বর ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল খালেদ হোসেনের। শরীর অবনতির দিকে যেতে থাকে। কর্মস্থল ছেড়ে চলে আসেন গ্রামে। সেখানে এসে হাসপাতালে টেস্টের পর জানা যায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত তিনি। পাঁচদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন অনেকটা সুস্থ তিনি। তবে হাসপাতাল ছাড়েননি এই ডেঙ্গু রোগী।

খালেদ হোসেন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার বাড়ি জয়পুরহাট সদরের বানিয়াপাড়া এলাকায়। তিনি বলেন, আমি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাধে গাজীপুরের জৈনা বাজারে বসবাস করি। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়ি। শরীরে জ্বর ও প্রচন্ড ব্যথা ছিল। সেখানে ডেঙ্গু টেস্ট করে কোনো সুফল পাইনি। পরে গ্রামে এসে হাসপাতালে টেস্ট করে ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়ে। গত পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। বর্তমানে অনেকটা সুস্থ আছি।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসের গত ১১ দিনে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) জেলা হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, ডেঙ্গু রোগী কমে গেছে। এখন একজন ভর্তি আছেন। জন্য করোনার জন্য প্রস্তুত আইসোলেশন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তরা বেশিরভাগ ঢাকা ও গাজীপুর এলাকার। হাসপাতালে নিয়মিত ডেঙ্গুর টেস্ট করানো হচ্ছে। এখন
বেশ কিছু ডেঙ্গু শনাক্তের টেস্ট করার মতো কিট মজুত আছে।

এদিকে জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নেই। ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন শনাক্ত হলেও তাকে আধুনিক জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে জ্বর ও ব্যাথার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসাদের ডেঙ্গুর টেস্ট করানো হচ্ছে। বর্তমানে জেলার পাঁচটি হাসপাতালে পূর্বের মজুত করাসহ ৯৫০ এর বেশি কিট এখনও মজুত আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী  বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে। এ বছর জেলার পাঁচটি হাসপাতালে ৯৩৫ কিট সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭০ কিট, ক্ষেতলালে ২৩০, কালাইয়ে ১৫০, পাঁচবিবিতে ২৭৫ ও জেলা হাসপাতালে ১১০ ডেঙ্গু শনাক্তের কিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে পূর্বের কিটও রয়েছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কিটের চাহিদা পাঠানো হবে। তবে সারাদেশে এক সাথে চাহিদা বেশি হলে কিট সংকট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

আরও খবর: