আন্তর্জাতিক

‘রুহ আফজা’ ঘিরে ভারত-পাকিস্তান বিতর্ক, যা বলল দিল্লি হাইকোর্ট

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ভারতের বাজারে পাকিস্তানি কোম্পানির তৈরি ‌‘রুহ আফজা’ নামক পানীয় বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন নয়াদিল্লির হাইকোর্ট। প্যাকেজিংয়ে রুহ আফজার বিষয়ে বিবরণ না থাকার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানে তৈরি রুহ আফজা ভারতে বিক্রি হচ্ছিল- এমন অভিযোগ পাওয়ার পর দিল্লির আদালত এ নির্দেশ দেন। 

এই পানীয়টির ভারতীয় নির্মাতা ‘হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন’ আদালতকে জানিয়েছে, ভারতের ই-কমার্স সাইটে তালিকাভুক্ত কিছু রুহ আফজা হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ভারত) দ্বারা তৈরি নয়, বরং পাকিস্তানি কোম্পানির তৈরি। যার বিবরণ প্যাকেজিংয়ে উল্লেখ করা থাকে না।

‘হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন’ ও ‘হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ ইন্ডিয়া’ দিল্লি হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংস্থা বেআইনিভাবে অ্যামাজনে রুহ আফজা বিক্রি করছে। দিল্লি হাইকোর্ট এ পিটিশনের জবাবে অ্যামাজনকে সতর্ক করেছে।

দিল্লি হাইকোর্টের বক্তব্য, রুহ আফজা হলো এমন একটি পণ্য, যা ভারতীয় জনসাধারণ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করে আসছে। এর খাদ্যমান নিয়ে কোনো রকম হেরফের মানা হবে না।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩১ অক্টোবর। দিল্লি হাইকোর্ট আগামী এক মাসের মধ্যে অ্যামাজনকে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

অনেকেই বলে থাকেন, ‘রুহ আফজা’ হলো এমন পনীয়, যা আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ও ফলের মিশ্রণ দিয়ে  তৈরি করা হয়। উত্তর ভারতে সারা বছর, বিশেষ করে গরমের সময়ে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

বর্তমানে হামদর্দ (ওয়াকফ) ল্যাবরেটরিজের বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান শাখা এটি উৎপাদন করে থাকে। এটি রমজান মাসে ইফতারের সময় উপমহাদেশের বহু মুসলমান পানীয় হিসেবে খেয়ে থাকেন। এটি সিরাপ আকারে বিক্রি হলেও পানি, দুধ ও বরফ ইত্যাদির সংমিশ্রণে সরবত বানিয়ে ইফতারের সময় খাওয়া হয়ে থাকে।

১৯০৭ সালে হাকিম হাফিজ আব্দুল মজিদ প্রথম পুরানো দিল্লিতে বিক্রি করেছিলেন ‘রুহ আফজা’। ১৯৪৭ সালের পর হাকিমের এক ছেলে দিল্লিতে থেকে যান ও অন্যজন পাকিস্তানে চলে যান। দুই দেশে তৈরি হয় ‘হামদর্দ ইন্ডিয়া’ ও ‘হামদর্দ পাকিস্তান’ নামে দুটি সংস্থা। দুই সংস্থাই ‘রুহ আফজা’ বিক্রি শুরু করে।

আরও খবর: