জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১ জানুয়ারি ২০২৫ , ১২:০৩ অপরাহ্ণ
মাহতাব চৌধুরী, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
বিদায় নিলো ২০২৪ সাল। কালের পরিক্রমায় নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো এই বছরটি। এই বছরটিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে কিছু অবিস্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী।
নোবিপ্রবিতে ২০২৪এ বছরের মাঝামাঝিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, জুলাইয়ের অভ্যুত্থান, আগষ্টে স্বৈরাচারী সরকারের পলায়নের মাধ্যমে পতন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা, নোয়াখালীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা, নোবিপ্রবির তৎকালীন ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারের পদত্যাগ। নতুন ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজার নিয়োগ। পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন দাবি উত্থাপন, পরিশেষে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী “তারেক সিয়াম” ও “ইসমাইল হোসেন”-র মৃত্যু ইত্যাদি ঘটনা।
এভাবেই শেষ হলো ২০২৪ সাল। আগমন ঘটলো ২০২৫ এর। ইংরেজি নববর্ষে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নানা প্রত্যাশাঃ-
# “শিক্ষার্থীদের ঐক্যই হোক পরিবর্তনের সূচনা”
প্রতিটি শিক্ষার্থীই বিশেষ এবং তাদের মধ্যে অগণিত সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। নতুন বছর যেন হয় তাদের জন্য একটি নতুন সূচনা। কৌতূহলী মন ও অধ্যবসায় শিক্ষার্থীদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শিক্ষার্থীরা একটি জাতির বিবেক। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তোলে, সমাজের পরিবর্তন ঘটাতে চায়। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা সময়ের পরিক্রমায় একাধিকবার প্রমাণিত। তাদের শক্তি ও ঐক্য সমাজে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি দেশ কেবল তখনই সম্ভব, যখন শিক্ষার্থীরা নিজেদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবে। তাদেরকে কেবল নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হবে। শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম হতে হবে জ্ঞাননির্ভর, ন্যায়ের পক্ষে এবং সর্বদা শান্তিপূর্ণ।
নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে আমার আহ্বান—আসুন, আমরা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করি। আমাদের লক্ষ্য হোক একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
শিক্ষার্থীদের ঐক্যই হোক পরিবর্তনের সূচনা!
-মাহমুদুল হাসান আরিফ
(সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবি)
# “নতুন বছরের প্রত্যয় হোক দায়িত্বশীল ছাত্রসমাজের হাত ধরে একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার”
নতুন বছরে একজন শিক্ষার্থী হিসাবে আমার ভাবনা :
নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন। বিশেষ করে ‘২৪’ সালের বিপ্লবের পর রাষ্ট্র সংস্কারের গুরুদায়িত্ব এখন ছাত্রসমাজের কাঁধে। ফলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নিজেদের ভূমিকা রাখতে হবে বহুগুণ বেশি দায়িত্বশীল হয়ে।
একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষাগত লক্ষ্য নির্ধারণ, দক্ষতা উন্নয়ন, এবং সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ, এবং সমাজসেবায় সক্রিয় অংশগ্রহণও এখন অপরিহার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব বা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি ক্যাম্পাস ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নিজস্ব অবদান রাখতে হবে।
ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রাখা, এবং নৈতিক উন্নতিতে ইসলামী মূল্যবোধ চর্চা অত্যন্ত প্রয়োজন। একই সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখা, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, এবং নতুন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জীবনকে সমৃদ্ধ করার দিকেও নজর দেওয়া উচিত।
২০২৫ সালকে রাষ্ট্র সংস্কার ও ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে ছাত্রসমাজ যদি একযোগে এগিয়ে আসি, তাহলে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। নতুন বছরের প্রত্যয় হোক দায়িত্বশীল ছাত্রসমাজের হাত ধরে একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার।
-আব্বাস আলী খান
(সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবি)
# “বসন্ত বিরাজ থাকুক বছরজুড়ে”
প্রতিটি বছর শেষ হবার ক্ষণে সবার মনে কিঞ্চিৎ হলেও প্রত্যাশা-প্রাপ্তী,সংকল্প নিয়ে একটা ভাবনা উঁকি দেয়। জীবনের এই চাওয়া – পাওয়ার প্রতিযোগীতায় একজন প্রতিযোগী হিসেবে হয়ত সবসময় কাঙ্ক্ষিত প্রাপ্তি জীবনের থলিতে জমা করা যায় না। তবুও জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে।বিগত বছরের অপ্রাপ্তির পিছনে হা-হুতাশ না করে নব উদ্যমে ভিন্ন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারার চেষ্টায় সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত।
সদ্য গত হওয়া দুই হাজার চব্বিশ সাল ছিলো আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় এবং নিজের ভূমিকা নিয়ে গর্বিত হবার বছর। বাংলাদেশের আকাশ থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাতে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অংশগ্রহণের ভূমিকা কিছু অপ্রাপ্তিকে ঠেলে দিয়ে স্বান্তনা যোগায়।
নতুন বছর সবার জীবনে আসুক ফুলের সৌরভ নিয়ে। বসন্ত বিরাজ থাকুক বছরজুড়ে। আর যে নতুন বাংলাদেশ এর স্বপ্ন আমরা দেখেছি..তা বাস্তবায়ন করার জন্য নিজের দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ঈগল চোখ খোলা রাখতে চাই।পাশাপাশি ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলোও অর্জন করতে।
-মাহমুদুল হাসান
(জবি, সাবেক শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি)
#“স্বনির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে”
আমদানি নির্ভর অর্থনীতি থেকে বের হয়ে স্বনির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন বিপুল জনবল কে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করা এবং তার জন্য বিপুল পরিমাণ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন। তবেই আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
-আহমেদ বাবু
(শিক্ষা প্রশাসন বিভাগ, ১৪তম ব্যাচ)
# “নতুন এই বাংলাদেশে নতুন বছর নিয়ে ভাবনার সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অঙ্গিকার এবং নতুন আশা”
নতুন বছর সবসময়ই নতুন সম্ভাবনা, আশা, এবং স্বপ্ন নিয়ে আসে। এটি আমাদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনার মতো। আত্ম-উন্নয়ন, পুরনো ভুল থেকে শেখা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আরো একটি সুযোগ।
নতুন বছর আমাদের জীবনে একটি পজিটিভ পরিবর্তন আনার সুযোগ দেয়। এই সময় নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানো নয়, বরং নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করার নতুন সুযোগ।
অনেকের কাছে নতুন বছর মানে অতীতের ব্যর্থতাগুলোকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়া। শিক্ষার্থীরা নতুন বছরের শুরুতে নিজেদের একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলো নতুনভাবে সাজায়। আবার কর্মজীবীরা তাদের ক্যারিয়ারের পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে ভাবেন।
তবে নতুন এই বাংলাদেশে নতুন বছর নিয়ে ভাবনার সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অঙ্গিকার এবং নতুন আশা। নতুন বছরে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অঙ্গীকার, আমাদের সর্বক্ষেত্রে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং নতুন আশার যোগান দেয়। এটি আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও সুন্দর এবং অর্থবহ করার স্বপ্ন দেখায়। নতুন বছর যেন আমাদের সবাইকে নতুন প্রেরণা, সাহস, এবং এগিয়ে যাওয়ার শক্তি এনে দেয়।
নতুন বছর আমাদের জীবনে শুধুমাত্র সময়ের পরিবর্তন নয়, এটি নিজের কাছে নতুনভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার একটি সুযোগ। আমাদের সকলেরই উচিত নতুন বছরে নিজের জীবনকে নতুন ভাবে গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা করা।
-মুশফিক আহমেদ (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ)
# “রোদ্দুরের মতো উষ্ণতা ছড়িয়ে যাক প্রতিটা ভঙ্গুর হৃদয়ে”
নতুন বছর, নতুন সূচনা, নতুন আমি!
পুরাতন বছর জীবনের পাতায় আরও একটি স্মৃতি যোগ করে বিদায় নিল। ২৪ সালটা ছিল আমার অপ্রাপ্তি,হতাশা, দূঃখ, বিষাদ সব মিলেমিশে এক অবিস্মরণীয় বছর।আক্ষেপ আর একরাশ আফসোস সাথে নিয়েই ২৪ কে বিদায় দিয়েছি।বছরের শেষ প্রান্তে এসে আমি রিয়েলাইজেশান করলাম দূঃখই মূলত সুখ।অপ্রাপ্তির ভার নিয়ে হৃদয় ব্যথিত হলেও, নতুন আশার সূচনাও হচ্ছে।
সকল ক্লান্তি, বিষন্নতা আর দুঃখ ভুলে নতুন বছরে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হোক সবার। কষ্ট দূরীকরণের বাহক হয়ে আসুক নতুন বছর। রোদ্দুরের মতো উষ্ণতা ছড়িয়ে যাক প্রতিটা ভঙ্গুর হৃদয়ে।
পরিশেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই চাওয়া, নতুন বছরে সবার জীবন ঊষার আলোয় আলোকিত হোক। নতুন সাফল্যে ভরে উঠুক।
-সানজিদা জিনাত নৌশি
(সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ১৮তম ব্যাচ)
# “নেতিবাচক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে”
প্রথমেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা।নতুন বছরে আমাদের নতুনত্ব ও সৃজনশীলতার ওপর ভর করে পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যেতে হবে। কিছু পরিকল্পনা নিয়ে যদি আমরা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে নতুন বছরটা আমাদের সাফল্যময় হতে পারে। অন্যের কাছে নিজের মতো করে ভাবার আশা না করাটাই ভালো, কারণ সব মানুষের চিন্তাধারা ভিন্ন। মানুষের বহুমুখী চাহিদা থাকে আর সময়ের সঙ্গে তা বাড়তেও থাকে।
নিজেকে ভালোবাসতে হবে। কারণ যে নিজেকে ভালোবাসতে পারে না, সে অন্যের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। নিজেকে ভালোবাসার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কোনো কাজে হাল ছেড়ে দেওয়া বা আশাহত হওয়া যাবে না। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে লেগে থাকতে হবে। নেতিবাচক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।
-মোঃ রেদওয়ান মিয়া
(সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ১৮তম ব্যাচ)
# “ভূলগুলো সব ফুল হয়ে যাক”
কেউ যদি হুট করেই প্রশ্ন করে বসে আমার নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে ; আমি বোধহয় গুছিয়ে বলতে পারবোনা কিছুই।কিংবা বলতে চাইবোনা।২০২৪ আমায় অনেক কিছু দিয়েছে।তাই ২০২৫ আমায় কি দিবে তা নিয়ে ভাবছিনা আমি।বরং একটা নতুন বছর আমার থেকে কি পেতে যাচ্ছে তা নিয়ে একটুখানি ভাবা উচিত বোধহয় আমার!
২০২৫ নিয়ে ফাতেমা কি ভাবছে?
১. ফাতেমার সকল ভুল ‘ফুল’ হয়ে যাক:
আপু সবসময় একটা কথা বলে আমায়,তোমার করা প্রত্যেকটা ভুল ততক্ষণ অব্দি ভুল না,যতক্ষণ না তুমি তা থেকে কিছু শিখছো! যে ভুল আমায় শিখায়,আমাকে নতুন করে বাঁচায় তা আমার জন্য ফুল,অক্টোবরে রাস্তায় পরে থাকা কোনো শিউলি ফুল!তাই ফাতেমা চায়,২০২৪ কিংবা এর আগে করা প্রতিটা ভুল ২০২৫- এ এসে ফুল হয়ে উঠুক।
২. আরামকে কে ‘না’ বলা ততক্ষিন অব্দি যতক্ষণ অব্দি প্রয়োজন হয় : এইটা একটু রসকষহীন পয়েন্ট, মোটেও কাব্যিক না।কিন্তু এইটা আমার জন্য ইম্পর্টেন্ট! একটা ঘরকুনো মানুষ, বিছানা,কাথা ছাড়া যার কোনো স্পেসিফিক প্রিয় জায়গা নেই,তার উচিত একটু ঝেঁকে বসা কিংবা একেবারে উঠে দাঁড়ানো।একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা,উঠেই আবার চিৎ হয়ে খাটের সাথে সাথে লেপ্টে না গিয়ে দিনের সকল কাজ গুছিয়ে নেয়া,একটু পরিশ্রম করা,এর পরিমাণ আস্তে বাড়ানো,এরপর আবার তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া!আহ!আমি জানিনা ফাতেমা ঠিক কতটুকু পারবে কিন্তু তার পারা উচিত!
৩. অনেক রকমের বই পড়া: বই আমি পড়ি।কিন্তু এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। যে ঘাটতি হয়েছে এই দুই – তিন বছরে তা ফিল আপ করা দরকার আমার।
৪. ইংরেজিতে একটু নজর দেয়া: যে লক্কর ঝক্কর ইংরেজি আমি জানি,তা দিয়ে পুষাবেনা আমার।এইটা আমার জন্য ‘এনাদার ইমর্টেন্ট’ একটা পয়েন্ট।
৫. অলওয়েজ পজিটিভ থাকা : পজিটিভিটি আমার মধ্যে কম।অল্পতেই ঘাবড়ে যাওয়া,আমাকে নিয়ে কে কি ভাবছে তা মাথায় আনা,ভয় পাওয়া,কাউকে প্রথম দেখায় জাজ করা এগুলো নেগেটিভ সাইন।এগুলো মাথা থেকেই ঝাটাই করে দিয়ে অলওয়েজ পজিটিভ থাকা।
৬.নিজের বন্ধু হওয়া: নিজেকে ভালোবাসতে পারা,নিজের যত্ন নেয়া,নিজের বন্ধু হওয়ার মতো আরামদায়ক কাজ বোধহয় পৃথিবীতে খুব কমই আছে।ফাতেমা চায় ‘ফাতেমা’র কাছাকাছি যেতে,’ফাতেমা’র বন্ধু হতে!
৭.বিভিন্ন ক্লাব এর সাথে যুক্ত থাকা: অন্তর্মুখী খোলস থেকে বের হওয়া এবং নানারকম মানুষের সংস্পর্শে এসে নানা কিছু শেখার জন্য এইটা করা জরুরি। কতটুকু পারবে সে জানেনা কিন্তু পারা উচিত!
৮.শান্তি : অশান্তি থেকে দূরে থাকা। নিজের শান্তিকে সবার আগে প্রায়োরিটি দেয়া যতক্ষণ না তা আরেকজনের শান্তি নষ্ট করছে!
নতুন বছর না কেবল আগত সকল বছর ‘ফাতেমা’র জন্য বরকতময় হোক।আমিন।
-ফাতেমা আক্তার
(সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ১৯তম ব্যাচ)
# “সোনার বাংলা পাক নতুনত্ব ও সমৃদ্ধির ছোয়া”
প্রথমেই আমি স্মরন করছি জুলাই বিপ্লবে নিহত, এবং আহতদের, তাদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি।
বরাবরের মত নতুন বছর আবার এলো,কিন্তু এবারের বছরটা ভিন্ন। ভিন্ন তো হবেই যখন স্বাধীন ভাবে নিজের মত ও অভিমত প্রকাশ করতে পারছি। এক নতুন বাংলাদেশ দেখছি,যা আমার বুজ হয়ে ওঠার আগে দেখিনি।
সবুজ শ্যামল এই সোনার বাংলা পাক নতুনত্বের ছোয়া,পাক সমৃদ্ধির ছোয়া। এছাড়াও একটা বিশেষ কারণে সামনে যে বছর ২০২৫ তা আমার কাছে খুবই এক্সাইটেড এবং গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের মাত্র শুরু, সামনে যাতে একাডেমিক সময়গুলো ভালোভাবে কাটাতে পারি, কোন রকম মানসিক চাপ ছাড়াই, এবং সকলের সাথে সৌহার্দ্য বজায় রেখে কাটাতে পারি দিনগুলি আল্লাহর কাছে এই চাওয়া। আর রবকে যাতে স্মরণ করে প্রতিটা কাজ করি সেটাও গুরুত্ব দেওয়া।
সর্বোপরি এই নতুন বছর সকলের ভালো কাটুক, এক নতুন বাংলাদেশ যাতে আমরা দেখি সেটাই হবে কাম্য। নতুন বছর সকলের ভালো কাটুক।
-রবিউল হোসেন সাজ্জাদ
(সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ১৯ তম ব্যাচ)
# “নতুন বছরটি যেন হয় সম্ভাবনার জ্যোতিতে আলোকিত”
নতুন বছর: শুরু হোক নতুন গল্পঃ-
জীবন যেন এক বই, প্রতিটি বছর তার নতুন অধ্যায়। পুরনো অধ্যায় শেষ হতে হতে আমরা ভাবি—কতটা এগোলাম? কতটা পেলাম? কিন্তু সত্যি বলতে, জীবনের সৌন্দর্য শুধু প্রাপ্তির মাপে নয়, বরং প্রতিটি পদক্ষেপে লুকানো গল্পের গভীরতায়।
২০২৪ সাল আমার জীবনের এক অসাধারণ অভিজ্ঞতার নাম। এটি আমাকে শিখিয়েছে, ভাঙন থেকেই শক্তি আসে, হোঁচট খেয়েই গড়ে ওঠে নতুন পথ। হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নের মধ্যেও আমি খুঁজে পেয়েছি নতুন আশা।
২০২৫ সাল আমার কাছে শুধুই একটি নতুন ক্যালেন্ডার নয়—এটি নতুন শুরু করার প্রতিজ্ঞা। নিজের শক্তিকে আরও পরিশীলিত করে, দেশকে ভালোবেসে, এবং আশপাশের মানুষদের জন্য কিছু করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
এ বছর আমি শপথ করছিঃ
নিজের দক্ষতাকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবো, যাতে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় অবদান রাখতে পারি।জীবনকে উপভোগ করব ছোট ছোট মুহূর্তের সৌন্দর্যে। পরিবেশ এবং মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল থাকব, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের গর্বিত করে। নতুন বছরটি যেন হয় সম্ভাবনার জ্যোতিতে আলোকিত। যে স্বপ্নগুলোর পথে আমরা চলতে শুরু করেছি, সেগুলোর বাস্তবায়নে কোনো প্রচেষ্টা যেন অসম্পূর্ণ না থাকে।
নতুন দিনের সূর্য সবার জীবনে বয়ে আনুক আনন্দ আর শান্তি। আর এই যাত্রায় আমরা যেন একে অপরের পাশে থাকতে পারি।
-মৌমিতা আক্তার এশা
(সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ১৯তম ব্যাচ)
# “লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই”
নতুন বছরে ভার্সিটি থেকে একটাই চাওয়া। সেটা হলো রক্তাক্ত, হানাহানি, নোংরা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র এবং শিক্ষক রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই। আমার ক্যাম্পাসে যেনো কোনো দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক স্লোগান, মিছিল, মিটিং না হয়। সেন্ট্রাল ওরিয়েন্টেশনে সম্মানিত ভিসি স্যার সহ অন্যান্য স্যাররা যেসব আশার বানী আমাদের শুনিয়েছেন আশা করি আমরা সেটার বাস্তবায়ন দেখবো।
Happy New Year
Happy Bangladesh 2.0
-রাকিব হোসেন
(সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ১৯তম ব্যাচ)
# “নতুন বছর হোক আমাদের নিজেকে নতুন করে জানার একটি নতুন অধ্যায়”
নতুন বছর, নতুন করে পথ চলা।
২০২৪ সাল থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। ২৪ আমাকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছে। যদিও স্বপ্ন গুলো পূরন হয়নি।২৪ এ আমি হতাশ হয়েছি, স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণা অনুভব করেছি। বার বার ব্যার্থ হয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখেছি।অপেক্ষায় ছিলাম নতুন সূর্যদয়ের।নোবিপ্রবি আমার জীবনে এসেছে নতুন সূর্যদয়ের মতো,খানিকটা আশার আলো নিয়ে, নতুন করে স্বপ্ন নিয়ে।
❝নোবিপ্রবি ২০২৪ এ আমার সেরা প্রাপ্তি।❞
২০২৫ সাল এ, আমি নতুন করে শুরু করতে চাই নিজের পথচলা। নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চাই। সেই স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে চাই। আমার আম্মুর গর্বের কারণ হতে চাই। নতুন বছর আমাদের সকলের জীবনে অন্ধকার কাটিয়ে আলো নিয়ে আসুক। নতুন বছর হোক আমাদের নিজেকে নতুন করে জানার একটি নতুন অধ্যায়।
নতুন বছর,নতুন দিন, নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন।
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
-তাহমিনা আক্তার
(সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ১৯ তম ব্যাচ)