খেলাধুলা

হকি নির্বাচন: আলোচনায় গঠনতন্ত্র

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ২০ মে ২০২৩ , ১:০৩ অপরাহ্ণ

দেশের প্রতিটি ক্রীড়া ফেডারেশন গঠনতন্ত্রের আলোকে গঠিত, নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। নির্বাচন সামনে রেখে হকি ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে। দেশের সকল ফেডারেশন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ আইনে সকল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির মেয়াদ চার বছর।

হকি ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেই মেয়াদকাল চার বছর দুই মাস। হকি ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রের ২১ অনুচ্ছেদে কার্যনিবাহী কমিটির মেয়াদ সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে, ‘নির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তাদের কার্য্যকাল কার্য্যভার গ্রহণের সময় থেকে চার বছর পর্যন্ত থাকবে। মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হবার ১ মাস পূর্বে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।’

অন্য ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে হকি ফেডারেশনের মেয়াদের বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন কর্মকর্তা কবিরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের সকল প্রজ্ঞাপনেই চার বছরের মেয়াদ। অন্য সকল ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে হকি ফেডারেশনের মেয়াদের বিষয়টি সাংঘর্ষিক হলেও তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চার বছরের পরের দুই মাসও তারা বৈধ।’

ফেডারেশনগুলোর গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত অনুমোদন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তাই গঠনতন্ত্রের এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ, ‘এটি একটি আলোচনাযোগ্য বিষয়। আমরা হকি সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়ে অবহিত করব এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেব।’

হকি ফেডারেশনে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রয়াত খাজা রহমতউল্লাহ। কয়েকটি ক্লাবের বিদ্রোহে তিনি সাধারণ সম্পাদক থেকে সহ-সভাপতি এবং কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ আব্দুস সাদেক সহ-সভাপতি থেকে সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ফেডারেশনের সভায়। নির্বাচিত কমিটির মধ্যে এ রকম আন্তঃরদবদল আইনসিদ্ধ না হলেও ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রে অবশ্য এমন বিধান রয়েছে। তখন বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কার্যকরি কোনো উদ্যোগ নেয়নি এবং পরবর্তীতে হকির পর ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনও সহ-সভাপতিকে সাধারণ সম্পাদক করেছিল।

ফেডারেশনগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুসারেই। হকি ফেডারশেনের অধ্যায় ৫ এর ৯ অনুচ্ছেদে সাধারণ পরিষদের বর্ণনা রয়েছে। ৯.১ ধারায় উল্লেখ রয়েছে- জাতীয় হকি অথবা যুব হকি প্রতিযোগিতায় বিগত ৪ বৎসরে ২ বার অংশগ্রহণ সাপেক্ষে অনুচ্ছে ৭ (১) এ বর্ণিত সংস্থা সমূহ থেকে একজন করে প্রতিনিধি। এই আইন অনুসারে যে সকল জেলা ক্রীড়া সংস্থা চার বছরের মধ্যে অন্তত দুই বার জাতীয় হকিতে অংশ নেবে তারা ভোটাধিকার পাবেন।

হকি ফেডারেশন গত চার বছরে দুই জাতীয় হকি আয়োজন করতে পারেননি। একবার আয়োজন করেছিল এতে ৫৭ জেলা অংশগ্রহণ করেছে। দুই বার আয়োজন করতে ব্যর্থ হলেও হকি ফেডারেশন আগের নির্বাচনে কাউন্সিলর থাকা জেলাগুলোকেই পুনরায় কাউন্সিলরশীপ প্রদানের জন্য চিঠি দিয়েছে। এতে অন্য জেলাগুলো বিক্ষুব্ধ হয়ে হকি ফেডারেশনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে। কাউন্সিলর না পাওয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোর দাবি, জাতীয় প্রতিযোগিতা দুই বার আয়োজন করতে পারেনি এটি ফেডারেশনের সীমাবদ্ধতা। আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম এবং একবার অংশগ্রহণও করেছি ফলে নির্বাচনে কাউন্সিলর হওয়া আমাদের অধিকার।

কয়েকটি জেলা কাউন্সিলর অধিকার আদায়ে যেমন লড়াইয়ে রয়েছে, আবার কিছু জেলা-বিভাগে কাউন্সিলরশীপের চিঠি না পাওয়া, নাম প্রেরণ নিয়েও অভিযোগ আছে। ঢাকার কয়েকটি ক্লাবে একাধিক কাউন্সিলরের নামও জমা পড়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচন কমিশন আগামীকালের মধ্যে ফেডারেশনকে কাউন্সিলর তালিকা প্রেরণের নির্দেশনা দিয়েছে। অ-২১ দল ওমানে জুনিয়র এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট খেলছে। এতে কর্মকর্তারাও ব্যস্ত রয়েছেন। এই টুর্নামেন্ট শেষ হলেই নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কর্মকান্ড হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও খবর: