লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো: মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেছেন, বিএনপির পথযাত্রা কিংবা সংঘর্ষে মারা যায়নি সজিব। পাওনা টাকা বিরোধের কারণে কুপিয়ে জখম করার কারণে মারা যায় সে। শহরের কলেজ রোড সড়কের মদিন উল্যা হাউজিং এর ফিরোজা টাওয়ার এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনারস্থল থেকে প্রায় কিলোমিটার দূরে এ হত্যাকান্ড ঘটে।
পুলিশ ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায় ৩-৪ জন লোক সজিব কে ফিরোজ টাওয়ার গিয়ে তর্ক বির্তক পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে । পরে ওই টাওয়ারের একজন মহিলা তাকে উদ্ধার করে মাথা পানি ঢালে।
তখন কি কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে জানতে চাওয়া হলে সজিব জানান তার কাছে ওরা পাওয়া টাকা পাবে এ কারণে তাকে মারধর করেছে সেই পথযাত্রা কিংবা শান্তি সমাবেশে আসেনি। এর পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা সজিব। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের এ ঘটনায় কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান পুলিশ সুপার। ১৯ জুলাই (বুধবার) পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস বিফ্রিং এই তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ১৮ জুলাই কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুর পথযাত্রা কর্মসূচি করার জন্য জেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি পুলিশ কাছে অনুমতি চায়। পথযাত্রা কোন ধরনের লাঠি কিংবা উশৃঙ্খল আচরণ করা যাবেনা এবং হাইওয়ে সড়কে অবস্থান করা যাবেনা এমন শর্তে তাদের অনুমতি দেওয়া হলেও ঘটনার দিন গতকাল বিএনপির কর্মীরা লাঠি সৌঠা ও পতাকা নিয়ে প্রবেশ করে এবং উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে অনুমতির রুট ভেঙ্গে মহাসড়কে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তাদের বাধা দেয় এসময় শহীদ চৌধুর এ্যানি কে নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করার জন্য অনুরোধ করা হলেও পুলিশ কথা তিনি শুনেননি।
বিএনপির নেতাকর্মীরা দোকান পাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ভাংচুর, গাড়ীতে আগুন দিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে রাবাব বুলেট ও কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশ উপর হামলা চালায় এতে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ও সদর থানা ওসিসহ ৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। হত্যা ও পুলিশের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুত চলছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ যে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি তার বাসভবণে এক সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্মীপুরে পুলিশ- বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ কে দায়ী করে সজিব হত্যার ঘটনায় নিজেদের দলীয় কর্মী পরিচয় দিয়ে এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে বলে জানান। সজিব সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ এলাকার বাসিন্ধা।
