জাগোকন্ঠ ৬ জুলাই ২০২৩ , ৭:২১ অপরাহ্ণ
দেশ মাতৃকায় তিনি ২৫-২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল রাত্রিবেলা জাতির দূঃসময়ে তৎকালীন ক্যাপ্টেন অলি আহমদ; মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টেকে সাথে নিয়ে সর্বপ্রথম বিদ্রোহ করেন এবং তৎকালীন মেজর জিয়াকে স্বাধীনতা ঘোষণা করার জন্য পরামর্শ দেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তিনি এক বিরল সাহসীকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তিনি এপ্রিলের ১১ তারিখ হতে জুন মাস পর্যন্ত ৭টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সশস্ত্র সম্মূখ যুদ্ধে নেতৃত্বে দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র ব্রিগেড মেজর নিযুক্ত হন। মূলতঃ ক্যাপ্টেন অলি আহমদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা। বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন অলি আহমদের বীরত্বের জন্য সর্বপ্রথম যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বীর বিক্রম খেতাব পান। তিনি দায়িত্ব ও কর্তব্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। বাংলাদেশে তার মত সৎ দেশ প্রেমিক রাজনীতিবিদ পাওয়া দূরহঃ। ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম অক্সফোর্ড ব্রুকস বিশ্ববিদ্যালয় হতে Revolution, Military Personnel and the war of Liberation in Bangladesh শীর্ষক গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি এবং পরবর্তিতে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে সম্মানসূচক ফেলোশিপ অর্জন করেন।
ড.অলির আহমেদ বীরবিক্রম একজন স্বচ্ছ এবং সফল রাজনীতিবিদ। জাগো দল বিলুপ্ত করে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল গঠনের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিএনপি নামটি তারই প্রস্তাবিত নাম এবং প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মন্ত্রাণালয় গুলো হলো গুলো হলো সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রাণালয়, খনিজ সম্পদ,জ্বালানি শক্তি মন্ত্রাণালয়, কৃষি মন্ত্রাণালয়, খাদ্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয়,যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রাণালয়।
পরবর্তীতে তিনি তৎকালীন সরকারি দলে থাকা অবস্থায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ৩২ জন এমপি-মন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতি, স্পিকারসহ ২০০৬ সালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি -এলডিপি নামক রাজনৈতিক দল গঠন করেন। সরকারি দলে থেকে এত সংখ্যাক এমপি মন্ত্রী নিয়ে দল গঠন বিশ্বে বিরল ঘটনা। এসবই করেছেন দুর্নীতিমুক্ত,সন্ত্রাসমুক্ত এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য।
তিনি আবারও বয়োবৃদ্ধ বয়সে ৩০ বছরের যুবকের ন্যায় দেশকে দুর্নীতিমুক্ত, গণতন্ত্র, ন্যায়-বিচার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রাজপথে থেকে নেতাকর্মী এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তার দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালবাসার জন্য দেশের দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধাভরে হৃদয়ের মনিকোঠায় জায়গা দিয়েছেন। জাতি আপনার অবদান ভূলবেনা।আপনি দেশের সম্পত্তি নন আপনি দেশের সম্পদ। আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবি করুন। আমিন।
লেখকঃ অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুর রহমান,
উপদেষ্টা এলডিপি (অতিরিক্ত দায়িত্ব দফতর)