অপরাধ

আরাফাত রহমান কোকো ট্রাস্টের নাম ভাঙিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিএনপি নেতা শরফুর বিরুদ্ধে

  জাগোকন্ঠ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার: জানা যায়, আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সমন্বয়ক ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সরফরাজ শরফু তার ব্যাবসায়িক পার্টনারদের টাকা আত্মসাৎ করেন।

এতে করে তিনি বিপাকে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক মহল। শরফু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতিতে প্রভাব খাটান। এমনকি সিনিয়র নেতাদের সাথে প্রায়ই বেয়াদবি করেন এবং আরাফাত রহমান কোকোর নাম ব্যবহার করে ট্রাস্ট গঠন করে গোপনে চাঁদা আদায় করেন।

কয়েকজন এ প্রতিনিধিকে জানান, লন্ডনের ব্রিকলেন ওয়াইট চ্যাপেল এলাকার ব্যাবসায়ীদের নিজেকে তারেক রহমানের লোক। ব্রিকলেনের তরুণ ব্যাবসায়ী মিনহাজ আহমেদের সাথে ও আরেক ব্যাবসায়ী শিপলু এই তিনজন মিলে লন্ডনে এলিফ্যান্ট এন্ড ক্যাসল রোডে গ্রোসারি ব্যাবসা শুরু করেন।

এক পর্যায়ে ব্যাবসায়িক পার্টনারদের অনুপস্থিতিতে ব্যাবসার প্রফিটের বড় একটা অংশ আত্মসাৎ করেন শরফু। বছর না পেরোতেই শরফু গাড়ি কিনেন এবং বাড়ী কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু তার পার্টনারদের বলে ব্যাবসায় লস হচ্চে কোনো প্রফিট আসতেছেনা। শরফুর ছলচাতুরী ধরে ফেলেন তার ব্যাবসায়িক পার্টনার শিপলুর স্ত্রী এবং তিনি বিষয়টি শিপলুকে অবহিত করেন।

এদিকে লন্ডনে কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে ওপেন চাঁদাবাজি শুরু করে শরফু। ব্যবসার মূল দায়িত্বে থাকা শরফুর সঙ্গে শিপলু ও মিনহাজ হিসেবে বসলে অর্থের গড়মিল ধরা পরে।
শিপলু ও মিনহাজ অভিযোগ করে বলে, অনিয়ম করে সরফরাজ শরফু ব্যবসার অন্তত ১২০ হাজার পাউন্ড হাতিয়ে নিয়েছেন তাদের থেকে। এখন ধরা পড়ে আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করতেছে।

এ ব্যাপারে বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, সরফরাজ শরফু এখন আমাদের দলের কেউ না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিএনপি থেকে তাকে কয়েকবার বহিস্কার করা হয়েছে, এখনও বহিস্কার রয়েছেন। তাকে আর আমরা দলে নেব না। কেউ যদি তার প্রলোভনে পরে ব্যবসার পার্টনার হয় তাহলে সেই দায়িত্ব দল নিবে না। কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্ট নামে যুক্তরাজ্যে কোন সংগঠন নেই। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে দল ব্যবস্থা নিবে।

আরও খবর: