জাতীয়

সাগর থেকে সাম্পান সরাচ্ছেন জেলেরা

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১৪ মে ২০২৩ , ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হেনেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এ ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাণ্ডব চালাবে। এতে উপকূলে ব্যাপক বাতাস বইছে। বাতাসে যেন মাছ ধরার ‘সাম্পান’ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাই সেগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন জেলেরা।

রোববার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া এলাকার মেরিন ড্রাইভে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাগর তীর ব্যাপক বাতাস বইছে। সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ তৈরি হয়েছে।

দেখা গেছে, প্রায় ৮/১০ মানুষ তাদের সাম্পানগুলো সরানোর কাজ করছেন। সাম্পানের নিচে চাকা লাগিয়ে সেটিকে ৪ চাকা গাড়ির মতো তৈরি করা হয়েছে। সেটিকে সোজা রাখার জন্য মানুষরা হাতে হাত ধরে কাজ করছেন। সাম্পান টেনে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর।

সাম্পান সরাতে কাজ করা সেলিম জাগো কণ্ঠকে বলেন, আমরা বাহারছড়া গ্রামের জেলে। এখানে আমাদের অনেকগুলো সাম্পান রয়েছে। বাতাস ও ঢেউ আমাদের সাম্পানগুলো ভেঙে ফেলে নিয়মিতই। ঘূর্ণিঝড়ে যেন সাম্পানগুলো ভেঙ্গে না যায়, তাই সেগুলো ঝড়ো বাতাসের মধ্যেই আমরা সরাচ্ছি।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি প্রবল বাতাসের কারণে ওই এলাকার বহুতল ভবনগুলো কাঁপছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার দুপুর ১টায় আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তরের আয়োজিত বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

তিনি বলেন, আমি এইমাত্র সেন্টমার্টিন আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছি।

তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের মতো, যা বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও ছিল ৮০ কিলোমিটারের মতো।

আজিজুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানি ইতোমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে, এমনি বিকেল চারটা নাগাদ জোয়ারের পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই। জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ৮ থেকে ১২ ফিটের মতো বেড়ে যাবে।

জাগোকণ্ঠ/এন/পিআর

আরও খবর: