দেশজুড়ে

মেম্বরের হুকুম পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন পুলিশ ও আসামীরা

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ২৩ মে ২০২৩ , ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

”শালাদের জীবনে শেষ করে দে” একথা বলার সাথে সাথেই থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আসামিরা লাঠিসোটা, রামদা, বড় হাতে নিয়ে মারধর শুরু করেন। এতে আহত হয় বাবা ইউসুফ আলী(৬৫) তার ছেলেরা রমজান আলী (৩৫) জামিল (২৮) আবু সাইদ (২৫) ইব্রাহিম(২১) ও রমজানের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম (২৪) আহতরা বগুড়া মোহাম্মাদআলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ দিন পর আহত রমজানের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম (২৪) ৩ মাসের অনাগত সন্তান গর্ভপাত হয়। পরে তিনি গাইনী বিভাগের চিসিৎকরা তাকে চিকিৎসা করানো হয়। বগুড়ার সারিয়াকান্দি কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য ওসমান আকন্দের হুকুমে এ মারপিট ও গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। গত ১১ মে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শোনপচা চরে এমন ঘটনা ঘটে। এভাবে অভিযোগে বর্নণা দিয়ে, জেলা বগুড়া সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট সারিয়াকান্দি আমলী আদালতে মামলা দায়ে করা হয়েছে। গত ১৬ মে ওই আদালতে মামাল করেন, কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের শোনপচা চরের ইউসুফ আলী ছেলে রমজান আলী। আসামি করা হয়েছে একই চরের ইউপি সদস্য ওসমান আকন্দ সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে। আহত সুমাইয়া বেগম বলেন, আমি সহ আমার দেবরা বাড়ীতে ছিলেন, হুুকুম পাওয়ার পর আমাদের বাড়ীতে ঢুকে পুলিশ সহ অন্যান্য আসমাীরা তাদেরকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর শুরু করেন, তাদেরকে আমার স্বামী রমজান আলীকে বাঁচাতে যাই,এ সময় আমাকেও তারা মারধর করে, পরে মাটিতে ফেলে পেটে লাথি সহ পদদলিত করে। এতে পরের দিন পেটে থাকা অনাগত সন্তান গর্ভপাত হয়। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ওসমান আকন্দ বলেন, চরের জমি নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ অনেক দিনের। মারামারির সময় আমি ঘটনার স্থলে ছিলাম না। আমি দূর থেকে দেখেছি মাত্র। এ ব্যাপারে পুলিশের এস আই নজরুল ইসলাম বলেন, চরের জমি নিয়ে গন্ডগোল হচ্ছে, এমন খরব পেয়ে চরে গিয়েছিলাম তবে সেখানে আমার সামনে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। বা আমি কাউকে মারামারি করতে দেয়নি। মামলার বাদী রমজান আলী বলেন, আদালতে মামলা দায়ের পর পরই ঘটনা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি তারা খুব শিগ্রই তদন্ত করে দোষীদের আইনের কাঠ গড়ায় দাড় করবেন।

আরও খবর: