দেশজুড়ে

বরগুনায় ভিজিডির চাল সরকারি চাকরিজীবীর ঘরে

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ

বরগুনার তালতলীতে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) তালিকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের স্ত্রীর নাম পাওয়া গেছে। এতে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত অসহায় ও দুস্থরা। শিক্ষকের স্ত্রীর নাম বাতিল করে প্রকৃত দুস্থদের তালিকাভুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক নারী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালতলীর মেনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনেওয়াজ সেলিমের বাড়ি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তালুকদার পাড়া এলাকায়। তিনি সরকারি বেতন-ভাতাভুক্ত হওয়ায় সচ্ছল পরিবার তার। তবুও ভিজিডির তালিকায় তার স্ত্রী সালমা বেগমের নামে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত অসহায়রা, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।

বিষয়টি স্বীকার করে স্কুলশিক্ষক শাহনেওয়াজ সেলিম বলেন, আমার স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড আছে। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিজিডি তালিকায় আমার স্ত্রীর নাম দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই কার্ড বাতিলের জন্য রেজুলেশন করে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

সম্প্রতি এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক গৃহবধূ। খাদিজা বেগম নামে ওই গৃহবধূ অভিযোগে করে বলেন, আমার পরিবার হতদরিদ্র-দুস্থ। আমার তিনটি সন্তান, কিন্তু আয়-রোজগার করার কোনো মাধ্যম নেই। তবুও আমি ভিজিডি কার্ড পাইনি। অথচ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীর স্ত্রী পেল ভিজিডি কার্ড!

তালতলী উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভিজিডির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযোগ পাওয়ার পর ওই শিক্ষকের স্ত্রীর নামের ভিজিডির কার্ডটি বাতিল করার প্রক্রিয়া চলছে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এ কার্ডসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর: