দেশজুড়ে

ফুলবাড়ীতে বেড়েছে সরিষার চাষআশানুরম্নপ দামের আশা কৃষকদের

  জাগোকন্ঠ ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ , ৪:২৬ অপরাহ্ণ



অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বাজারে চাহিদা বাড়ায় এবং আশানুরম্নপ ভালো দাম পাওয়ায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। আমন ধান কাটার পর শীতের শুরম্নতে দিগন্ত জুড়ে দেখা যাচ্ছে হলুদ সরিষা ফুল। দেখে যেন মনে হয় প্রকৃতি সেজেছে হলুদের অপরম্নপ সুন্দর সাজে।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউনিয়নে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমি। কিন্তু চাষাবাদ হয়েছে এক হাজার ৮২৩ হেক্টর জমিতে। এতে ৪৭৮ হেক্টর বেশি জমিতে এ বছর সরিষা চাষ করেছেন এলাকার কৃষকরা। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৮ মেট্রিক টন। কিন্তু সরিষা আবাদ বেশি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি সরিষা উৎপাদন হবে এ উপজেলায়। কৃষি বিভাগ বলছে, অন্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে। এছাড়াও বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার জন্য সরিষা তেলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ায় ক্রেতা বেড়েছে অনেক বেশি। যার কারণে সরিষা তেলের চাহিদা বাড়ার কারণে চাষাবাদও বেড়েছে বর্তমানে। গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার শ্রীরামপুর, কৃষ্ণপুর, জিয়তগ্রাম, বাসুদেবপুর, মেলাবাড়ী, চকমথুরাসহ বিভিন্ন এলাকাজুড়ে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ। দেখে মনে হয়ে হলুদ চাদরের বিছানা। সরিষা ক্ষেতের এই সৌন্দর্য দেখতে বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড় সেই সঙ্গে চলছে ফটোসেশন। প্রায় মাস খানেক পর কৃষকের ঘরে উঠবে এই কাঙ্খিত সরিষা। উপজেলার শ্রীরামপুর (ধামাহার) গ্রামের সরিষা চাষি কমল কিস্কু বলেন, ৩ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। সরিষার গাছ রিষ্টপুষ্ট হওয়ার সাথে সাথে খুব ভালো ফুলও এসেছে জমিতে। অন্যান্য বছরগুলোতে বিঘা প্রতি ১৩ থেকে ১৫ মণ সরিষা পেলেও এ বছর তার চেয়েও বেশি সরিষা পাবেন এমনটাই আশা করছেন তিনি। উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বোরো ধান লাগানোর আগে জমিতে সরিষা লাগানো হয়। সরিষার দাম ভালো থাকায় এ বছর ২ বিঘা সরিষা চাষ করেছেন। ফুলে ফুলে ভরে গেছে ক্ষেত। চাহিদানুযায়ী এ বছর সরিষা পাবেন বলে তিনি মনে করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রম্নম্মান আক্তার বলেন, আশানুরম্নপ লাভ পাওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলেই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা চেয়েও অধিক জমিতে সরিষা চাষাবাদ হচ্ছে। সরিষা ক্ষেতে তেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা রোগ বালাই না ধরায় ফলন ভালো হবে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রম্নয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে সরিষা কৃষকের ঘরে উঠে যাবে। ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি স্থানীয় চাহিদা মেটাতে সরিষা চাষে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ সব ধরনের পরামর্শ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। #

আরও খবর: