জাতীয় বাজেটে সাঁওতালদের ভাষা, ধর্ম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে ফুলবাড়ীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাঁওতাল নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা

অপু,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

জাতীয় বাজেটে সাঁওতালদের ভাষা, ধর্ম, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে বাংলাদেশ সৗরিধরম গাঁওতা (সারিধর্ম সংগঠন) নামের সাঁওতালদের সংগঠন উদ্যোগে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টায় ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সৗরিধরম গাঁওতার (সারিধর্ম সংগঠন) সভাপতি চুন্নু টুডু। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুবাস মুর্মুর সঞ্চালনায় আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন সংগটনের সাধারণ সম্পাদক নরেশ হেম্ব্রম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ সুনিল হাঁসদা, সদস্য নির্মল মার্ডী, রবীন মুর্মু, মনিরাজ হেম্ব্রম, রাজেন মার্ডী প্রমুখ।

এতে সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক চন্দ্রনাথ গুপ্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক আজিজুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স,সাংবাদিক প্রভাষক রীতা রানী কানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালের কন্ঠ প্রতিনিধি আনোয়ার সাদাত মন্ডল, সাংবাদিক সম্পাদক পস্নাবন শুভ, মাইটিভি প্রতিনিধি ফিজারম্নল ইসলাম ভুট্টু, দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি রজব আলী, দৈনিক আজকের পত্রিকা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, দৈনিক দেশ বর্তমান প্রতিনিধি কংকনা রায় প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় সাঁওতাল নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৯ সালে সরকারিভাবে প্রকাশিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গেজেটে সাঁওতালসহ ৫০ টি জাতিসত্ত্বা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। গেজেটে অন্তভূক্ত ৫০ টি জাতিসত্ত্বার প্রত্যেকটির জাতিসত্ত্বা, নিজস্ব ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি বিদ্যমান। সাঁওতাল জাতিরও নিজস্ব ভাষা, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতি রয়েছে। অন্যান্য জাতি ধর্মের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্ম পালনের জন্য সরকারিভাবে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও সাঁওতালদের ধর্ম পালনে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয় না। রাষ্ট্রীয় এই বৈষ্যম দূর করতে হবে। সাঁওতালদের নিজস্ব ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। খ্রিষ্টধর্মীরম্বীদের আগ্রাসনে সাঁওতালদের অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে। খ্রিষ্টধর্মীলম্বীদের হাতে নিরীহ সাঁওতালদের বিভিন্ন প্রলোভনে ধর্মান্তরিত করার চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে রম্নখতে হবে। এজন্য সকলকে সাঁওতালদের সহযোগিতা করতে হবে। খ্রিষ্টধর্মীরম্বীদের আগ্রাসন রম্নখতে না পারা গেলে নিকট ভবিষ্যতে সাঁওতাল নামের জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। সাঁওতালদের অস্তিত্ব রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা।