দেশজুড়ে

ইবি লেকে বাধা ডিঙিয়ে বাইকের দৌরাত্ম

  জাগোকন্ঠ ৭ জুন ২০২৪ , ৬:১৬ অপরাহ্ণ

ওয়াসিফুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মফিজ লেকের প্রবেশ পথ দিয়ে যানবাহন চলাচলের বাধা থাকলেও বিকল্প রাস্তা তৈরি করেছে মোটরসাইকেল চালকেরা। মফিজ লেকে গাড়ি চলাচলের কারণে সৃষ্ট দূর্ঘটনা নিরসনে পিলার গেঁথে প্রবেশপথে নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। তবে এমন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাশে থাকা বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতর দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সেখানে সাইকেল, মোটরসাইকেল কিংবা ভ্যান প্রবেশ করতে দেখা যায়।

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কেবল এখানেই কোনরূপ বাহনের ঝক্কিঝামেলা ছাড়া হাঁটাহাঁটি করা যায়। যা বেশ উপভোগ্য। কিন্তু ইদানীং কালে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে হরহামেশাই এখানে বাইক কিংবা ভ্যান ঢুকে পড়ে। এমনিতেই লেকের রাস্তা কিছুটা সুরু তারউপর যদি আবার বাইক, ভ্যান চলাচল করে তাহলে পথচারীদের চলাচলেই অসুবিধা হয়। প্রশাসনের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও এসব বাইকার বা ভ্যানচালকদের এমন কর্মকাণ্ড অনুচিত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাম্পাসের পশ্চিমের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন এলাকায় লেকটির অবস্থান। সেখানে নির্বিঘ্নে পথচারীদের হাঁটাহাঁটি উদ্দেশ্যে যেন কোন ধরনের বাহন প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে লেকটির দু’পাশের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি লোহার খাম্বা মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। এতে একপাশ আটকানো গেলেও বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশে বিকল্প রাস্তা তৈরী করে ফেলায় কোনভাবে আটকানো যাচ্ছে না বাইক ভ্যানের দৌরাত্ম।

তবে বিষয়টি ঠেকাতে তৎপর সিকিউরিটি সেল। আর অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

এবিষয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রবিন জানান, মাঝেমধ্যে বিকেলে এখানে হাঁটতে আসি। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর প্রথমে এখানে বাইক গুলো ঢুকতো না। প্রবেশ পথের আগে পার্কিং করা থাকতো। এতে হাঁটাহাঁটি করা যেত ভালো ভাবে। তবে এখন বাইকের দৌরাত্ম অনেক বেড়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে ভ্যানও ঢুকে পড়ে দেখি। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।

অপর আরেক শিক্ষার্থী বলেন, হাঁটাহাঁটির জায়গায় বাইক কিংবা ভ্যান চলাচল একপ্রকার ডিসটার্ভেন্স সৃষ্টি করে। পাশাপাশি জিয়া মোড় থেকে লালন শাহ্ হলের পকেট গেইট যাওয়ার রাস্তাটায় এমনিতেই ধূলা বেশি। সেখানে প্রায়ই অনেক গতি নিয়ে বাইক চলাচল করে। এতে করে একদিকে যেমন ধূলো ছড়িয়ে পরে পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনার আশংকাও থাকে।

বিষয়টি নিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা যখনই কোনো অভিযোগ পাই, সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমাদের মূল দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখা। মফিজ লেকে যেন কোনো রকম দূর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পিলার দিয়ে প্রবেশ মুখ আটকে দেওয়া হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদেরও আরও সচেতন হতে হবে। আমরাও সচেষ্ট আছি। কোনো অনৈতিক ঘটনা ঘটলে, তা আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো।

আরও খবর: