দেশজুড়ে

নিবন্ধনে বৈষম্যহীন নিয়োগ চেয়ে ইবিতে বিক্ষোভ

  জাগোকন্ঠ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১:৫২ অপরাহ্ণ

ওয়াসিফুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:

বৈষম্যহীন ১৮ তম নিবন্ধনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রত্যাশা করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ও ১৯ তম নিবন্ধন পরীক্ষার্থীবৃন্দ। সমাবেশের মাধ্যমে তারা এনটিআরসিএ’র নিকট নয়টি দাবি উত্থাপন করে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ করে।

বিক্ষোভে তারা ‘মেধা ছাড়া শিক্ষক, অযোগ্য অযোগ্য’, ‘১৮তম দের বাদ রেখে, গণবিজ্ঞপ্তি চলবে না’, ‘স্বাধীন এই বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘অবৈধ বিজ্ঞপ্তি যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’, ‘আদু ভাইদের গণবিজ্ঞপ্তি, মানি না মানবো না’, ‘সেপ্টেম্বরে রেজাল্ট দিন, নভেম্বরে নিয়োগ দিন’, ‘জাল সনদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষক নিয়োগে রাজনীতি, অন্যায় অবিচার’ স্লোগান দিতে থাকে।

এসময় তাদের দাবি ছিল ১৮তম রেজাল্ট এর আগে কোন বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি নয়। ১৮ তম পরীক্ষার্থীদের লিখিত রেজাল্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিতে হবে এবং অক্টোবরে ভাইভা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষক সংকট দূরীকরণে ১৮তম দের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এনটিআরসিএ এর পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ৬০ (ষাট) হাজার জাল সনদধারীদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮তমদের নিয়ে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। অটো এমপিও চালু করতে হবে। ১ থেকে ১২ তমদের আদালতের রায় বহাল রাখতে হবে। বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে এবং বয়স ৩৫+ দের সুযোগ দেওয়া যাবে না।

সমাবেশে শিক্ষার্থী আবু ইউসুফ বলেন, আমরা প্রহসনমূলক গণবিজ্ঞপ্তি চাই না। এর মাধ্যমে প্রথম ১২ টি নিবন্ধনে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী যাদের বয়সসীমা ইতোমধ্যে ৪৫ বছরেরও অধিক তাদেরকে সুযোগ করে দেওয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। এ ধরনের বৈষম্য দূর করতেই আমরা আমাদের নয়টি দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছি।

এছাড়াও একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক সংকট দূর করতে ১৮তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ কারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। পাশাপাশি জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করে নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

এর আগে গত রোববার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাব প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে নিবন্ধন প্রত্যাশীরা।

আরও খবর: