দেশজুড়ে

সিলেটে টিলা খেতে ভয়ংকর বসবাস

  জাগোকন্ঠ ১২ জুন ২০২৪ , ২:৪১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক (রকি):

সিলেট মহানগরীর চামেলীবাগ এলাকায় টিলা ধোসে মারা গেছে একই পরিবারের ৩ সদস্য। এ দুর্ঘটনার পর সিলেট জুড়ে এখন আলোচিত হচ্ছে টিলার নিচে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস নিয়ে। চামেলি বাগ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস কারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছেন সিটি কর্পোরেশন।
কত কষ্ট দে পরিবারকে আর্থিকতা দিয়েছেন সিটি মেয়র, সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক।

১৯৯৭ সালে একই ক্রীড়া ধসে নিহত হয়েছিলেন আরেক যুবক। আহত হয়েছিলেন আরো কয়েকজন। ওই সময়ও এই ভাবেই কর্তৃপক্ষের তৎপরতা দেখেছিলেন স্থায়ীরা।

টিলাধসে যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন তথ্য জনপ্রতি নীতি ও স্থায়ী প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।

কয়েকদিন পর হলেই স্বাভাবিক হয়ে আসে সবকিছু। আবারো টিলা কাটেন প্রভাবশালীরা। শুরু হয় তিলা কেটে আবাসনের কাজ। টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের বেশিরভাগ নির্মিত হওয়ায় মৃত্যুর ঘটনা ও তাদের স্থান স্হানচ্যুত করতে পারে না।

মৃত্যুর ঝুঁকি সন্ধি করেই পড়ে থাকেন তারা টিলার ভাজে। আর প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলে সতর্কতার একটি নোটিশ জারি করে দায় সার্জেন্ট কর্তৃপক্ষ।

গতকাল ফরজ মিন চামিলিবার এলাকা গিয়ে দেখা গেছে, টিলাধসে মারা যায় মোহাম্মদ করিম উদ্দিনের বাসার পাশে আরো চারটি পরিবারের উপর রয়েছে ঝুঁকিতে। কিলার মাটি ধষে চারটি ঘরের উপর গ্যাস দিয়ে আছে। কিলার উল্টোর পূর্ব পাশের কয়েকটি বাঁচাও অনেকটা ঝুলে আছে টিলার উপর।

যেকোনো সময় বসে পড়তে পারে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম জানান, এখানে চামেলীবাগ এলাকায় অত্যন্ত 17 টি পরিবার ধুতিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। একই ওয়ার্ডের বহর আবাসিক এলাকায় কিলার নিচে ঝুঁকিতে আছেন ৭০/৮০ টি পরিবার। এছাড়া সৈয়দপুর জাহানপুর, আলুর দল এলাকায়ও টিলা কেটে অসংখ্য বাড়িঘর তৈরি করা হয়েছে। সিলেটে মহানগরীর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে টিলা রয়েছে। প্রায় প্রতিটি টিলা কেটে ঘরে তোলা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়ি। মহানগর ছাড়াও জেলার 13 টি উপজেলার মধ্যে সিলেট সদর, গোলাপগঞ্জ, জৈন্তপুর, গোয়াই ইন ঘাট, দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীয়গঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় টিলার সংখ্যা বেশি। অনেক উপজেলায় টিলার মালিকরা মধ্যস্বত্বভোগী ঠিকাদারদের কাছে মাটি কাটার দায়িত্ব দিয়ে দেন। ওই ঠিকাদাররা তাদের নিজ দায়িত্বে টিলা কেটে মাটি নিয়ে যান। সেই মাটি বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পে বিক্রি করেন। এলাকাটার জন্য প্রশাসন ম্যানেজ ও করেন তারা। আবার কোন কোন মালিক নিজ দায়িত্বে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে থাকেন। মাটি কাটার পর টিলার স্থানে গড়ে তোলা হয় আবাসন।

এছাড়া গোয়া ইনঘাট ও জৈন্তাপুরের বিভিন্ন স্থানে টিলা কেটে মাটির নিচে থেকে তোলা হয় পাথর। এ ক্ষেত্রে পাথর খেয়ে পড়া নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে টিলা ইজারা নেন। টিলা কেটে তারা পাথর উত্তোলনের পর পুনরায় জাগার মালিক কে বুঝিয়ে দেন। এই লোভে করে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের অনেক তাদের টিলা পাথর খেয়া দেশ কাছে ইজারা দিয়েছেন। দিনরাত সব টিলা কেটে চলছে পাথর উত্তোলন।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোবারক হোসেন জানান, চামেলীবাগ ট্রাজে ডিশ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা হোসাইন মোহাম্মদ আল জুবায়েতকে প্রধান করে 7 সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাস কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় টিলার পদদেশে যারা অবস্থান করছেন তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ টিলাগুলোতে লাল পতাকা উড়িয়ে লোকজনকে সতর্কতা করা হয়েছে। এভাবে অনিয়ম ও নৈতিক কাজ চলছে সিলেটে।

আরও খবর: