দেশজুড়ে

ইবিতে বিভাগীয় সংবর্ধনা পেয়েছে ট্যুরিজমের ১ম ব্যাচ

  জাগোকন্ঠ ৪ জুন ২০২৪ , ৩:১১ অপরাহ্ণ

ওয়াসিফুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১ম ব্যাচের বিদায়ী সংবর্ধনা ও সমাপনী-২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত অনুষ্ঠানে স্নাতক ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ১০ টায় জিমনেসিয়াম সংলগ্ন মাঠে বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান নাবিদ ও নুসরাত জাহান মিমের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

এসময় বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: রফিকুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন। এছাড়াও হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: শরিফুল ইসলাম, প্রভাষক মোঃ ইয়ামিন মাসুম ও প্রভাষক মোঃ নাছির মিয়া-সহ বিদায়ী শিক্ষার্থী এবং বিভাগের পাঁচ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, এই ডিপার্টমেন্টের পূর্ণাঙ্গ একটা ইন্ট্রিগ্রেটেড সিলেবাস আমি তৈরী করেছিলাম যেটা ছিল আমার তৈরী সবচেয়ে মডার্ন সিলেবাস। এই সিলেবাসটা আরও সমৃদ্ধ হবে যখন তোমরা তোমাদের কর্মক্ষেত্রে এটার প্রয়োগ ঘটাতে পারবে। পৃথিবীতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বর্ধনশীল ও সমৃদ্ধশীল ইন্ডাস্ট্রি হলো ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি। তোমাদের যখন ট্যুরিজম শিক্ষায় শিক্ষিত করছি তখন আমরা আশা করতেই পারি শুধু কক্সবাজার না, দেশের সকল ট্যুরিস্ট স্পট সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। সেদিন আমি নিজেকে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মনে করে তৃপ্ত হবো যে আমার তৈরি করা সিলেবাসটা কাজে লেগেছে।

বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি মাঝে মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা কমিটিকে সময় দিই। বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অপকর্মগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের এরকম অপকর্মে এখনও দেখিনি। এটা একজন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে গর্ব করি। বিদায়ী শিক্ষার্থীরা যদিও অনেক অপূর্ণতা নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ট্যুরিজম ইনভায়রনমেন্ট ফিরিয়ে দেওয়া। প্রথম সস্তান হিসেবে অনেক সমস্যা বা দাবি চেয়েছেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোড এর বাহিরে যেতে পারিনি। তবে চেষ্টার কমতি ছিল না। শিগগিরই গণতান্ত্রিক পন্থায় ট্যুরিজম ক্লাব গঠিন করা হবে। একটা বিষয় হলফ করে বলতে পারি যে আমাদের কোনো শিক্ষকের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না। কোনো শিক্ষার্থী বাস্তব জীবনে সেটা হতে পারে ক্যারিয়ার লাইফ বা সমাজ থেকে রাষ্ট্র পর্যায়ে সফল হলে নিজের সন্তানের চেয়ে বেশি খুশি হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

আরও খবর: