জাগোকন্ঠ ১৮ মে ২০২৪ , ৫:১৯ অপরাহ্ণ
মোহাম্মদ আরমান চৌধুরী,সংযুক্ত আরব আমিরাত:
অর্থপাচার নিয়ে যারা কাজ করেন এবং দুবাইয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন গত কয়েক বছরে দুবাইয়ের বিলাসবহুল এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশিদের আবাসন সম্পদ কেনার বিষয়টি এখানকার কমিউনিটিতে অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’।
যদিও এদের সবাই যে অবৈধ পথে অর্থ নিয়ে ওই সম্পদ কিনেছেন এমন নয়। আবার বাংলাদেশ থেকে কারও বৈধ পথে টাকা নিয়ে এখানকার আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ নেই।
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ধনকুবেররা বিলাসবহুল বাড়ি কিনেন যেই এমিরেটস হিলসে, সেখানেও বাংলাদেশি মালিকানাধীন ভিলা আছে। এখানকার কোনো কোনো ভিলার দাম বাংলাদেশি টাকায় তিনশ কোটি টাকারও বেশি।
বাংলাদেশের অর্থপাচার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর একটি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি। এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থ যায় তার মধ্যে আরব আমিরাত নতুন তবে ক্রমশ এটি বাড়ছে।
দুবাইয়ের আবাসনে সব বাংলাদেশিদের সম্পদ কেনার টাকা হয়তো অবৈধ নয়। তবে অনেকেই অবৈধ পথে নিয়েছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। কর্তৃপক্ষেরও এটা জানা আছে। সরকার চাইলে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক আইনের সুযোগ নিয়ে এটি ব্যবস্থা নিতে পারে।
বাংলাদেশে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে দুবাইতে বাড়ি কেনার নানা অফারের বিজ্ঞাপনও অনেকের দৃষ্টিতে এসেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো বাংলাদেশিকে দেশটিতে বিনিয়োগের অনুমতি দেয়নি।