দেশজুড়ে

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুর ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ফুলবাড়ীতে সূর্যের দেখা নেই ৭ দিন, বইছে শৈত্যপ্রবাহ বিপর্যস্ত জনজীবন

  জাগোকন্ঠ ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ , ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে জেলায়। এটি জেলার এ মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এ কারণে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে ঘনকুয়াশার আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে কনকনে হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৯৬ শতাংশ ও বাতাসের গতি শূন্য নটস এবং সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৯৯ শতাংশ ও বাতাসের গতি শূন্য নটস। গতকাল সোমবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে দিনাজপুর জেলায়। তবে গত রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৯৬ শতাংশ ও বাতাসের গতি শূন্য নটস এবং সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৯০ শতাংশ ও বাতাসের গতি ০১ নটস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা ৮দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে দিনাজপুর জেলায়। রবিবারও (১৪ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুর জেলায়।
শীতের কারণে সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় তাদের আয় উপার্জনে ব্যাঘাত ঘটছে। আবার একটু কাজ করতেই শারীরিকভাবে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। শীত নিবারণের জন্য পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়লেও দাম বেশি হওয়ায় সকলের পক্ষে সেগুলো কেনা সম্ভব হচ্ছে না। চলমান শীত ও ঘনকুয়াশা কৃষকদেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। মাঠে থাকা আলু ও টমেটো ক্ষেতে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদূর্ভাব। আবার বোরো চারাও ঠিকভাবে অঙ্কুরোদগম হচ্ছে না। কুয়াশায় বীজতলা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার লক্ষণডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রাম চন্দ্র রায় বলেন, শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে তার ক্ষেতের আলু গাছের পাতায় মোড়ক দেখা দিয়েছে। ফলে ঘন ঘন বালাইনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আলাদিপুর এলাকার তারাপদ রায় বলেন, শীতের কারণে বীজতলায় চারা একটু কম গজায়। যেগুলো গজিয়েছে; সেগুলোও বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে আবার কিছু কিছু মরেও যাচ্ছে। পৌর এলাকার ফকিরপাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক রাজু আহস্মেদ বলেন, সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হলেও রাস্তায় লোকজন কম থাকায় আয় কম হয়েছে। ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে শীতের কারণে দুপুরের পরপরই বাড়ী ফিরতে হচ্ছে।
এদিকে তীব্র ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারিদের উপস্থিতি থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গতকার সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরেই ক্রমেই তাপমাত্রা কমছে। এটি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। #

আরও খবর: