- আরও
জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ২৩ জুলাই ২০২৩ , ১২:১৮ অপরাহ্ণ
দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষার পর ভারত থেকে দেশে ফিরছেন রহিমা আক্তার নামের ৩২ বছর বয়সী এক নারী। ২০১৯ সালে ভারতে গিয়ে দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তর বিভাগে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ওই সময় নিজের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিলেন রহিমা। এরপর চিত্তর বিভাগের সত্যভেদুর এক ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক সপ্তাহের চিকিৎসা শেষে স্মৃতিশক্তি ফিরে পেয়ে রহিমা জানান, তিনি বাংলাদেশি এবং তার বাড়ি কুমিল্লায়।
তবে আইনি জটিলতার কারণে চার বছরে ধরে হাসপাতালেই কাটাতে হয়েছে তাকে। অবশেষে শনিবার (২২ জুলাই) তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী পাঁচদিনের মধ্যে পুলিশি নিরাপত্তায় রহিমা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন।
রহিমাকে বাংলাদেশে ফেরাতে সবচেয়ে সহযোগীতা করেছে বেসরকারি সংস্থা বৈষভ মহিলা মান্দালি।
সংস্থাটির প্রতিনিধি মাধবী গণপতী টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘রহিমাকে পুলিশি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। বিশাখাপত্তম থেকে ট্রেনে তিনি প্রথমে হাওড়া যাবেন, সেখান থেকে শিয়ালদহ। এরপর লোকাল ট্রেনে করে সোমবার তার সীমান্তের কাছের একটি স্টেশনে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তাকে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
দুই সন্তানের জননী রহিমার বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার জামালকান্দি গ্রামে। তিনি কুমিল্লায় একটি স্কুলে কাজ করতেন। ২০১৯ সালে ভারতে আসার পর তিনি হারিয়ে যান। সে বছরের ২৩ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তর বিভাগের তাকে রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশ। এরপর তাকে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিন সপ্তাহের চিকিৎসার পর তিনি কথা বলতে শুরু করেন এবং জানান তার বাড়ি বাংলাদেশে। রহিমার চিকিৎসা করা হাসপাতালের অধ্যক্ত ডাক্তার রামি রেড্ডি জানান তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
