মতামত

নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক তাৎপর্য

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ২৬ জুন ২০২৩ , ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কূটনীতি এখন বেশ জটিল এবং কুটিল সম্পর্কের ব্যাকরণ মেনে চলে। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় হয়েছে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি হয়েছে’ জাতীয় গড়পড়তা ও পাইকারি ডায়ালগ দিয়ে এখন আর কূটনীতি চলে না।

এখন কূটনীতি চলে ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ ফর্মুলায়। এই কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ আগ্রহ, কেননা এই সফরের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের নানান অঞ্চলের বহুমাত্রিক ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মেরুকরণের গতি-প্রকৃতি উপলব্ধি করা সহজ হবে।

১৯৬৩ সালে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এবং ২০০৯ সালের ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর পর নরেন্দ্র মোদি ভারতের তৃতীয় রাজনীতিক যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে হোয়াইহাউজ সফর করছেন।

বিশেষ করে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘আল্টিমেট এনিমি’ চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে গড়ে ওঠা শক্তিশালী বলয় ব্রিক্স (BRICS)-এ ভারতের অন্তর্ভুক্তি ও নেতৃত্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতি, এতদঞ্চলের সমরনীতি প্রভৃতির চরিত্র, গতি-প্রকৃতি ও ভবিষ্যৎ মোদির সাথে বাইডেনের আলোচনা, সিদ্ধান্ত, চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক প্রভৃতির ওপর নির্ভর করছে। ফলে, মোদির এই সফর নানান কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক সময় ভিসা নিষিদ্ধ করেছিল মোদিকে, সেই মোদিকে লাল-গালিচা সংবর্ধনা ও অভূতপূর্ব সম্মান দিয়ে তারা বরণ করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির যারা সামান্য খোঁজখবর রাখেন, তারা জানেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বার্থ ছাড়া কোনোকিছু করে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘গলাগলি’ এবং ‘গালাগালি’ দুটো’ই তার রাষ্ট্রীয় স্বার্থের সাথে সম্পৃক্ত। তাই, স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন আসে, ভারতের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতি গলাগলির মতলবটা কী?

১৯৬৩ সালে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এবং ২০০৯ সালের ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর পর নরেন্দ্র মোদি ভারতের তৃতীয় রাজনীতিক যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে হোয়াইহাউজ সফর করছেন। এছাড়া নরেন্দ্র মোদিকে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ সভায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, এটা পৃথিবীর যেকোনো রাজনীতিকের জন্য একটি বিরল সম্মানের বিষয়।

মোদির আগে মাত্র দু’জন এই বিরল সম্মান পেয়েছেন; একজন হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের দুইবারের (১৯৪০-৪৫ এবং ১৯৫১-১৯৫৫) প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং দ্বিতীয়জন হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত ও কিংবদন্তী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। চার্চিল এবং ম্যান্ডেলার কাতারে মোদিকে ফেলা যায় কি না তা বের করতে পৃথিবীর ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বহু পরিশ্রম করতে হবে।

এছাড়া বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর মোদি তৃতীয় সরকার প্রধান যাদের হোয়াইট হাউজে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর আগে ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মান শুধু মোদিকে দেয়নি, দিয়েছে ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ৫০ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয়দের।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রি-তে কাউকে কোনো কিছু দেয় না, তাই মোদিকে বা ভারতকে এত সম্মান দেওয়ার পেছনে মতলবটা কী? আমার বিবেচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ প্রধানত পাঁচটি। এক. ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওন বলতে যা বোঝায় অর্থাৎ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের আশেপাশের প্রায় ৪০টা দেশে মার্কিন আধিপত্য বিস্তারের জন্য ভারতকে প্রয়োজন কেননা এখানে ভারত অত্যন্ত শক্তিশালী অংশীদার।

দক্ষিণ এশিয়ায় যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ বছর ধরে বিরোধ এবং দ্বন্দ্ব লেগে আছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছিল। ফলে, ভারত রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেরিতে হলেও উপলব্ধি করছে, ভারতকে রাশিয়ার দিকে বেশি ঝুঁকতে দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন শক্তির ক্ষয় হয়েছে। তাই, এখন তারা ভারতকে চায়।

দুই. ব্রিক্স ক্রমান্বয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, চীন, রাশিয়া, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা মিলে একটা বড় অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং আঞ্চলিক বলয়ে পরিণত হয়েছে। ব্রিক্সে বাস করে পৃথিবীর প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ, এর মোট আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৩০ শতাংশ এবং এটা ২০২১ সালের টোটাল বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৩১.৫ শতাংশ। এবং আগামী আগস্টে ব্রিক্সের সভায় আরও বেশ কয়েকটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রকে বিক্সে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে। ফলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর যে একরৈখিক বিশ্বব্যবস্থা, তার ক্রমান্বয়ে বহুরৈখিক বিশ্বব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে।

যেহেতু ব্রিক্স-এর অন্যতম উদ্যোক্তা এবং অনুঘটক ভারত, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ভারতকে নিজের পাশে বসানো ছাড়া আর কোনো পথ নেই। কেননা, চীন এবং রাশিয়াকে ‘আদর করে পাশে বসানোর সম্পর্ক’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশিষ্ট রাখেনি।

তিন. চীন ক্রমান্বয়ে বিশ্বের মোড়লত্ব গ্রহণ করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন আঞ্চলিক বলয়গুলোয় চীন নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যেও চীন তার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করছে। শিয়া অধ্যুষিত ইরাক এবং সুন্নি অধ্যুষিত সৌদি আরবের মধ্যে দূতিয়ালির কাজও করছে চীন।

বলা হয়ে থাকে, রিয়াদের সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ফিকে হয়ে যাওয়ার পেছনের চীনের সহযোগিতার হাত আছে। চীন যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ‘কমন এনিমি’, সেহেতু চীনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক আধিপত্য দমন করতে হলে, ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুবই প্রয়োজন।

চার. ওয়ার ইন্ডাস্ট্রি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান পিলার। ভারত নিয়মিতভাবে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয় করে। এতে করে রাশিয়ার সাথে ভারতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমরাস্ত্র বিক্রিতে রাশিয়ার জায়গা দখল করতে চায় এবং ভারতকে নানান লোভনীয় অফারে সমরাস্ত্র বিক্রি করে নিজের ওয়ার ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি ভারতকে রাশিয়া নির্ভরতা থেকে মুক্ত করা।

পাঁচ. আগামী বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৫০ লাখ ভারতীয় অভিবাসী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং রিপাবলিকানদের ‘হোয়াইট সুপ্রিমেসির’ বিপরীত বাইডেনের ডেমোক্রেটদের জিততে হলে ৫০ লাখ ভারতীয়দের সমর্থন খুবই দরকার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালগালিচা সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে ডেমোক্রেটরা আগামী বছরের নির্বাচনের ভোটের হিসাব-নিকাশ পোক্ত করছেন। তাই, সব বিবেচনায় মোদির এই সফর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বমঞ্চে ভারত যে অন্যতম শক্তিশালী নক্ষত্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, সেটা জানান দেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদির এই সফর ছিল একটা ট্রেলার। এখন ভারত-নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হবে অনেক গ্রহ।

অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদিও নিজের ঝুড়িতে প্রয়োজন-মাফিক পূর্ণ করে আনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে গেছেন। এই সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রদত্ত ‘জামাই আদর’ও কোনো দয়া বা দান নয়, মোদি তার নেতৃত্বগুণে সেটা অর্জন করেছেন। তাই, সিএনএন মোদির সফর নিয়ে এক বিশ্লেষণে বলেছে, ‘ভারত ছাড়া রাশিয়ার গতি নেই আবার ভারত ছাড়া আমেরিকারও চলা মুশকিল’। আর ভারতীয় মিডিয়া বলছে, ‘এই দুই দেশকে ভারতের এখন আর খুব বেশি দরকার নেই; বরঞ্চ ভারত এখন তাদের প্রয়োজন’।

নয় বছরে মোদি ভারতকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোদিকে নিজের স্বার্থেই বিরল এই আতিথিয়েতা প্রদান করছেন।

মোদির ঝুড়িতে ভরে আনছেন অসংখ্য অর্জন—পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাতক ড্রোন এমকিউ-৯৮ ক্রয়; ভারতের কাছে যুদ্ধ বিমান নির্মাণ প্রযুক্তি হস্তান্তর (যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনোই কারও সাথে করে না); আমেরিকার মাইক্রো চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোন টেকনোলজি প্রায় ৮২৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ (গুজরাটে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। স্থানীয় বিনিয়োগসহ এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২.৭৫ বিলিয়ন ডলার); একটি নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার স্থাপনের জন্য মার্কিন কোম্পানি অ্যাপ্লাইড ম্যাটারিয়ালস চার বছর বিনিয়োগ করবে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ভারতের অমীমাংসিত ৬টা ইস্যু বাতিল করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত ২৩২টি জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নানান স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম প্রোডাক্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার; ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পৃথিবীর আরও ১২টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত মিনারেল সিকিউরিটি পার্টনারশিপে ভারতের যোগদানের সুযোগ; ভারতীয় সোলার এনার্জি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিক্রম সোলার এনার্জি লিমিটেড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের সুযোগ; আমেরিকার নেতৃত্বাধীন আর্টিমিস একর্ডে ভারতের যোগদান যার মধ্য দিয়ে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একত্রে কাজ করে ২০২৪ সালে নাসার যৌথ স্পেস মিশনে অংশ নিতে পারবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয়দের থাকার এবং কাজ করার জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজকিরণ প্রভৃতি নানান বিষয়ে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উদার এবং অকৃপণ হস্তে গ্রহণ করেছে।

পরিশেষে বলবো, বিশ্বমঞ্চে ভারত যে অন্যতম শক্তিশালী নক্ষত্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, সেটা জানান দেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদির এই সফর ছিল একটা ট্রেলার। এখন ভারত-নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হবে অনেক গ্রহ।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর ২০২০ সালে তার প্রকাশিত বই ‘The India Way: Strategies for an Uncertain World’-এ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘২০০৮ সালের বিশ্বমন্দা এবং ২০২০ সালের করোনাভাইরাস বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। এই বদলে যাওয়া বিশ্বে ভারতও নিজেকে বদলে নিয়েছে। এখন ভারত ভারতের পথে চলবে। অন্যরা ভারতের পথকেই অনুরসণ করবে।’ নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর জয়শংকরের টেক্সটের সিম্পলি এক বৈশ্বিক অনুবাদ।

ড. রাহমান নাসির উদ্দিন ।। নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আরও খবর: