দেশজুড়ে

লক্ষ্মীপুরে মসজিদের ভেতরে তারকাঁটা এলাকায় ক্ষোভ, পরে অপসারণ

  জাগোকন্ঠ ২৩ জুন ২০২৩ , ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার গণি হেডমাস্টার সড়কের নূর মিয়া বাইতুল জান্নাহ জামে মসজিদের ভেতরে তারকাঁটা সীমানা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে সমসেরাবাদ এলাকায় গণি হেডমাস্টার সড়কের পাশে অবস্থিত ওই মসজিদে ভেতরে তারকাঁটা দেওয়া হয়।
দুপুরে যোহরের নামাজ পড়তে এসে তারকাঁটা থাকার মসজিদের ভিতরে ঢুকতে না পেরে স্থানীয় মুসল্লীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করে।

এ দিকে খবর দুপুরে এলাকায় উত্তেজনা আশংকায় শহর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে বিকেলে জেলা পরিষদের লোকজন কাঁটাতার সরিয়ে ফেলার পর মুসল্লীরা আসর ও মাগরিবে নামাজ পড়ে। এর আগে পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূ্ইঁয়া এলাকায় গিয়ে মুসল্লীদের সাথে কথা করেন এবং সংকট নিসরনে সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৯ বছর পূর্বে নূর মিয়া পন্ডিত নামে এক ব্যক্তি জেলা পরিষদের মসজিদের নামে সাড়ে ৪ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেয়। এ জমি দীর্ঘ ৩৯ বছর পরিক্ত্যক্ত অবস্থায় ছিল। গত ৬-৭ মাস পূর্বে এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে ওই জমিতে একটি টিনসেট মসজিদ স্থাপন করেন। ওই থেকে জেলা পরিষদের মসজিদ কমিটির সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু কোন সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। হঠাৎ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পরে জেলা পরিষদের কর্মচারীদের উপস্থিতিতে মসজিদের ভিতর ও বাহিরে তারকাঁটা (সীমানা) দেওয়া হয়। এ ঘটনার সাথে হাসপাতাল সড়কের এক ঠিকাদার ও আওয়ামীলীগ নেতা জড়িত বলে স্থানীয়রা জানান।
মসজিদের মুসুল্লি আব্দুর রহিম, খোকন ও জামাল উদ্দিন জানান, এই এলাকা একটি জনবহুল। মসজিদ গুলো অনেক দূরত্ব। তাই ৬-৭ মাস পূর্বে আমরা উদ্যোগ নিয়ে এ মসজিদ নির্মাণ করি। যার নামে মসজিদ দেওয়া হয়েছে, তিনি ৩৯ বছর পূর্বে এ জমি জেলা পরিষদের মসজিদের নামে এ জমি দান করে । কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর এই সম্পত্তি অনাবাদি পড়ে থাকায় আমরা উদ্যোগ নিয়ে মসজিদ দিয়েছি। হঠাৎ আজ জেলা পরিষদের লোকজন এসে তারকাঁটার বেড়া দেয়।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মোহাম্মদ রাফিন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, নূর মিয়া পন্ডিত নামে এক ব্যক্তি জেলা পরিষদ জামে মসজিদের নামে জমিটি দান করেছেন। সম্প্রতি ওই জমিতে একটি টিনসেট মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বসে মীমাংসা করার কথা ছিল। আমাদেরকে বিতর্কিত করার জন্য একটি কুচক্রিমহল মসজিদের ভেতরে তার কাটা দিয়েছে। বিষয়টি দু:খ জনক। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে বের করা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।  বিকেলে তার কাটার বেড়া সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) জহিরুল আলম বলেন, কে বা কারা মসজিদের ভেতরে তার কাটার বেড়া লাগিয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মুসল্লীদের শান্ত থাকতে বলেছি। বিকেলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মহোদয়ের উপস্থিতিতে তারে কাঁটা অপসারণ করা হয়েছে।

আরও খবর: