দেশজুড়ে

ফরিদপুরে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের দাবি তরুণ জলবায়ু কর্মীদের

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ৫ মার্চ ২০২৩ , ৫:০৩ অপরাহ্ণ

জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়েছে বরিশালের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) অর্থায়ন বন্ধ এবং এলএনজি আমদানি নির্ভরতা কমাতেও  সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান তাদের। তারা ভবিষ্যতের জন্য একটি জলবায়ু ও জ্বালানি-সুরক্ষিত বাংলাদেশ দেখতে চান। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ না করে টেকসই প্রকল্পে বিনিয়োগের আহবান জানান বক্তারা।
বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (৩ মার্চ) নগরীর প্রেসক্লাব  চত্বরে  সামনে জলবায়ু  এক সমাবেশ থেকে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা এ দাবি জানান। সুইডিস জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের গড়ে তোলা স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’র বাংলাদেশ গ্রুপ ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস যৌথভাবে এ জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজন করে। নানা ধরনের দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে দুই শতাধিক তরুণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। দেশের ২৬টি জেলার তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বিশ্বব্যাপী এই জলবায়ু ধর্মঘটের দাবিগুলোর সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে।এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুরএ আয়োজন করা হয়।
এসময় বক্তব্য শাহরীন ইসলাম মাহিন, আবরার নাদিম ইটু, ইসরাত জাহান,রাজিব  কাব্য, হামিম রাখেন।
এসময় আমাদের এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব আলতাফ হাসান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান আন্দোলন এর ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক সজয় বারুই ও সমকাল সুধীর সমাবেশের কাজী সবুজ আহমেদ।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্রমাগত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়ায় উন্নত দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে এসময় তরুণরা জলবায়ু কর্মীরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের কারণে বিশ্ব এখন একটি জটিল সময় পার করছে। যা ইতিমধ্যে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী মানবতার জন্য রেড অ্যালার্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে। উন্নত দেশগুলোকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ এ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবসায় বিনিয়োগ না করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এখনই উদ্যোগী হতে হবে। সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ক্ষতিকারক জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে জলবায়ু বিধ্বংসী কার্যকলাপের জন্য দায় নিতে হবে এবং সেখান থেকে সরে এসে অবিলম্বে উল্লেখযোগ্যভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। তরুণরা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের আসন্ন বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য শক্তির অনুপাত উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের ফরিদপুর জেলা সমন্বয়কারী শাহরীন ইসলাম মাহিন  বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানিতে আমাদের নির্ভরতা কমানো যে কত জরুরি সেটা বোঝার জন্য কাল পযন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। জলবায়ু দুর্যোগ জনিত ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করার এখনই সময়। আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এখনই আন্দোলন করতে হবে নাহলে পরে সাঁতার কাটতে হবে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব জনাব আলতাফ মাহমুদ বলেন শিশু আর তরুণদের এর আন্দোলন আমাদেরকে আরো বাড়াতে হবে সব বয়সে মানুষকে যুক্ত করতে হবে পরিবেশের আন্দোলনের সাথে। তিনি সংগঠনকে ধন্যবাদ ও এর কার্যক্রম বৃদ্ধির কথা বলেন। তিনি আরো বলেন এখনি সময় আমাদের পরিবেশ বাঁচানোর।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান আন্দোলনের ফরিদপুর জেলা বিভাগ সজল বারুই বলেন, একটা দেশে তার আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা দরকার কিন্তু বাংলাদেশে সেটা ১৮ ভাগও নেই। আমাদের এখনই বেশি বেশি বরণ করা প্রয়োজন। মানুষকে আরো সচেতন করতে হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সর্বোপরি বিশ্বব্যাপী এই কর্মসূচি আরো করবে বলে তারা এক কততা প্রকাশ করে। ও বাংলাদেশের  জলবায় কর্মীরা সব সময় এই ধরনের মানববন্ধনের সাথে থাকে।

আরও খবর: