শিক্ষক দম্পতির মৃত্যু, বিক্ষোভ করে দোষীদের শাস্তির দাবি

গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে শিক্ষক দম্পতির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিক্ষোভ করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ওই দম্পতির নিজ স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

এদিকে টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপকমিশনার (এডিসি) হাসিবুল আলম বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অনুরোধ করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই মৃত্যুর সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দেন।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় প্রাইভেট কারের ভেতরে টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসা. মাহমুদা আক্তার ওরফে জলি (৩৫) দম্পতির লাশ পাওয়া যায়। মৃত দম্পতিকে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ভোরে দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে এ কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও মোসা. মাহমুদা আক্তার ওরফে জলি (৩৫) দম্পতির লাশ পাওয়া যায়। জিয়াউর গাজীপুরের টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মাহমুদা টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। গত শনিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।

এদিকে ওই ঘটনায় শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মারা যাওয়া স্কুল শিক্ষকের বড় ভাই আতিকুর রহমান বাদী হয়ে নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।