জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ৯ জানুয়ারি ২০২৫ , ১:৪৪ অপরাহ্ণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের জাজিরা থানা ভবনের ওসির শয়ন কক্ষ থেকে ওসি আল-আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ৩ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানায় গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখে বরিশাল জেলার মুলাদী থানার আল- আমিন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাজিরা থানার নতুন ভবনের ২য় তলায় ইন্সপেকশন বাংলো (পদ্মা) রুমের মধ্যে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল- আমিনের লাশ জানালার গ্রিলের সাথে গামছায় ঝুলে থাকতে দেখা যায়। এবং তার পায়ের সাথে লাগানো বসার চেয়ার দেখা যায়। ওসি আল -আমিন সর্বশেষ ১১ টা ১মিনিটের সময় উক্ত থানার সহকর্মী আজিজুল হক মোবাইল ফোনে অফিসের কাগজপত্র সিগনেচারে জন্য ফোন করলে ওসি আল- আমিন জানান যে তার একটু দেরি হবে। এরপর সে অফিসে না যাওয়ায় জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আঃ ছালাম তার থানার দ্বিতীয় তলার রুমে গেলে রুমের দরজা খোলা কিন্তু ভিড়ানো অবস্থায় দেখতে পায়। দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢুকে রুমের উত্তর পাশে জানালার গ্রিলের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ওসি আল-আমিনের মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ পরিদর্শক ছালাম থানার ডিউটি অফিসার সহ অন্যান্য অফিসার ফোর্সদের জানায়। এরপর সে পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন অফিসার কে অবগত করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার শরীয়তপুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন অর্থ, ডিআই ওয়ান শরীয়তপুর, ওসিডিবি শরীয়তপুর, দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জাজিরা উপজেলার ইউএনও এসিল্যান্ড ও জাজিরা হাসপাতালের টি এইচ ও আরএমও কে সঙ্গে নিয়ে থানার দ্বিতীয় তলায় গিয়ে ওসি আল-আমিনের মরদেহ থাকার রুমে প্রবেশ করেন। মৃত্যুর সঠিক কারন এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত, ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে খানার ভেতরে গণমাধ্যম কর্মীসহ কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক ও পুলিশ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রকৃত ঘটনা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গলায় গামছা প্যাচানো ছিল। ময়নাতদন্তের পরে বাকিটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ওসি আল আমিনের মরদেহ তার রুমের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন সহকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সুপারসহ অন্যরা। এখন ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাঁর পরিবারকে খবরটি জানানো হয়েছে।
শ/জ/প্র