দেশজুড়ে

রাসুলল্লাহ (সা) এর নামে কটুক্তির প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

  জাগোকন্ঠ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১:৪২ অপরাহ্ণ

ওয়াসিফুর রহমান, ইবি: ভারতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে গালি ও কটুক্তির প্রতিবাদে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে একত্রিত হন শিক্ষার্থীরা। পরে মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও পাশ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় মসজিদে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ভারত সরকারের প্রতি বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান।

এসময় শিক্ষার্থীরা নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার; নবীর দুশমনের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; সাবিলুনা কাবিলুনা, আল জিহাদ, আল জিহাদ; জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাচঁতে চাই; ইসলামের শত্রুরা হুশিয়ার সাবধান ;বিশ্বনবীর অপমান, সইবে না রে মুসলমান; আমরা সবাই রাসূল সেনা, ভয় করিনা বুলেট বোমা সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কটুক্তি করা হয়। নবীজি কে কটুক্তি করা মানে মুসলমানদেরকে আঘাত করা । এর আগেও ভারত এধরণের কাজের দুঃসাহস করেছে। আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাইনা। আমরা দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাই। যদি তার বিচার করা না হয়, তাহলে পুরো বিশ্বের মুসলিমদের পক্ষ থেকে যে গর্জন আসবে তাতে দিল্লি ও ভারত টুকরো টুকরো হয়ে ছারখার হয়ে যাবে। নবীজিকে অপমান করা মানে বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের কলিজায় আঘাত করা। নবীর আশেকরা এটা কখনোই মেনে নিবে না।

বক্তারা আরও বলেন, যেই ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে গুজব ছড়ায়, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে নিজেদের মহান দাবি করে। অথচ তাদের দেশের মুসলমানদের উপরেই চলছে প্রকাশ্য নির্যাতন। যেখানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে শুরু করে ইরান এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারপরও ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের, উগ্র জঙ্গিবাদের কোন শেষ নেই এই দেশে। সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়েও কটুক্তি করার দুঃসাহস দেখিয়েছে ভারতের পুরোহিতেরা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অতিসত্বর ভারতকে এই উগ্রবাদের রাজনীতি থেকে বের হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

আরও খবর: