দেশজুড়ে

ভেড়ামারার ক্রীড়া নিয়ে কিছু কথা

  জাগোকন্ঠ ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ , ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

ভেড়ামারা প্রতিনিধি:

ভেড়ামারার ক্রীড়াঙ্গনে বিগত ১৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে স্হবিরতা লক্ষণীয়। রয়েছে নামমাত্র ও নামসর্বস্ব উপজেলা ক্রীড়া সংস্হা। পদ-পদবী  ও ক্রীড়ার নামে অর্থগ্রহণ ছাড়া তাদের আর কোন কাজ নেই। ক্রীড়া সংস্হার নামে বার্ষিক ১,১৫,০০০ টাকা বরাদ্দ এলে ও ক্রীড়া নামের কোন কাজ হয় না। পকেট কমিটি হয় যেখানে ক্রীড়ার সহিত জড়িত অরিজিনাল খেলোয়াড়রা সুযোগ পায় না। ক্রীড়ার নামে টিআর বা অন্য কোন বরাদ্দ এলে সাধারণ খেলোয়াড়রা তা জানতে পারে না। তাছাড়া দুস্হ খেলোয়াড়, খেলারত অবস্হায় কোন খেলোয়াড় আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য কোন সহায়তা প্রদান করা হয়না। বছরে কদাচিৎ একটি মিটিং হয় বা হয়না। তাতে পকেট কমিটির সদস্যদের নাম মাত্র নাস্তা দিয়ে বিদায় করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক খেলোয়াড় এমন মন্তব্য করেন। ফলে উপজেলার ক্রীড়াঙ্গন অন্ধকার জগতে চলে গেছে। যুব সমাজ খেলাধুলার অভাবে মরণ নেশা গাঁজা, মদ, হেরোইন, ইয়াবা, ট্যাপেন্ডাডল ইত্যাদি নেশায় বুঁদ হয়ে গেছে। এ অবস্হা থেকে উত্তোরণ পেতে দ্রুত ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার প্রয়োজন। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে প্রতি বছর মাধ্যমিক স্তরের ছেলে-মেয়েদের জন্য বার্ষিক খেলাধুলার বরাদ্দ আসে। তারা তড়িৎভাবে খেলাধুলার খরচ বাঁচাতে একদিনে উপজেলার মাঠে ১২/১৪ দলের খেলা আয়োজন করে। যাতে ২০ মিনিট করে খেলানো হয়। এতে করে খেলার প্রকৃত মান যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাছাড়া খেলোয়াড়দের বয়সের বিস্তর ফারাক থাকে যা মোটেও উচিত নয়। ভেড়ামারা শহরে বর্তমানে ৪ টি খেলার মাঠ আছে যা অনেক উপজেলাতে নেই রয়েছে ভেড়ামারা সরকারি কলেজ মাঠ, গ্যারেজ মাঠ, ভেড়ামারা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ টি খেলার মাঠ। সবগুলো মাঠেই খেলার পরিবেশ রয়েছে। 

মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে আগে বার্ষিক খেলাধুলা হত। একমাস পুর্ব থেকে খেলার মাঠ প্রস্তুত হত, বাছাই পর্ব হতো, তারপর ১ম রাউন্ড, ২য় রাউন্ড করে ফাইনাল হতো। কি সাজ সজ্জা বাহারী পুরস্কার, বড় বড় অতিথীর হাত থেকে হতো পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠান। তাছাড়াও হতো ইন্টার স্কুল প্রতিযোগিতার মত বাহারি খেলার আয়োজন। স্কুলে নাম মাত্র বেতনে সবগুলো হয়ে যেত। এখন বেতন, সেশন, বিদ্যুৎ বিল, গ্যারেজ বিল, ভর্তি ফরমের ২৫০ টাকা প্রদান সত্বেও হয় না কোন বার্ষিক ক্রীড়া আয়োজন। তাহলে ক্রীড়া ফান্ডের অর্থ যাই কোথায়! ভেড়ামারা সরকারি গার্লস স্কুলের নামে বিলশুকায় স্কুল মাঠের নামে জমি ক্রয় করলেও মাঠ প্রস্তুতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কার্যকরি কোন পদক্ষেপ নেই। ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের নামে ১২ মাইলে খেলার মাঠের জমি ক্রয় করা হলেও তা তদারকির অভাবে পড়ে আছে। তাছাড়া হাজি আফসার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, রহিমা আফসার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হালিমা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সবুজকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন খেলার মাঠ নেই। 

ভেড়ামারার যুব সমাজকে মাদকের মত মরণ নেশা থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টির কোন বিকল্প নাই। সে কারণে যুবসমাজকে রক্ষার স্বার্থে ও ভেড়ামারার ক্রীড়াঙ্গনের পরিবেশ সৃষ্টিতে ক্রীড়া সংস্হা সংস্কার সহ ক্রীড়ার সকল অনিয়ম দুর করে কার্যকর ব্যবস্হা গ্রহণের জোর তাগিদ ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের।

আরও খবর: