জাগোকন্ঠ ২৯ মে ২০২৪ , ১:৪০ অপরাহ্ণ
নূর ই ইলাহী দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি :
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২১ মে । নির্বাচনী উপকরণ বহনের জন্য পিকআপ, হায়েস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান সহ সিএনজি পরিবহন ব্যবহার করেছে উপজেলা প্রশাসন । পরিবহন খরচ বাবদ সরকারি বাজেট থাকলেও পরিবহন চালকরা পায়নি ন্যায্য ভাড়া । আবার বেশিরভাগ পরিবহন মালিকদের ফিরতে হয়েছে খালি হাতে ।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনটিতে ৭৪ টি কেন্দ্রের জন্য ১৩ টি হাসেয়, ৪৪ টি সিএনজি এবং কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, ভটভটি সহ মোট ১১০ টি যানবাহন ব্যবহার হয়েছে। নির্বাচনে পরিবহন ভাড়া বাদব তেলের ¯ স্লিপ, এবং নগদ টাকা বরাদ্দ থাকে ।
বরাদ্দকৃত তেলের স্লিপ কিংবা নগদ টাকা কোনটাই জোটেনি বেশির ভাগ পরিবহন চালকদের কপালে । আবার কেউ টাকা পেলেও পায়নি ন্যায্য ভাড়া । নামমাত্র টাকা নিয়েই বিদায় নিতে হয়েছে । ভুক্তভোগী সিএনজি চালক সোনা মিয়ার ভাষ্য, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা থেকে ৪৪ টি সিএনজি ভাড়া নিয়েছে ২ দিনের জন্য। প্রতি সিএনজির ভাড়া পঁচিশ’শ টাকা দেওয়ার কথা । অথচ নির্বাচন শেষে রাত এগারোটা সময় উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে আমাদের ভাড়া দিয়েছে চৌদ্দ’শ টাকা করে । নায্য ভাড়া ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা হতে ৪৮ হাজার ৪ শত টাকা কম দিয়েছে । পাওনা টাকা চাইলে হুমকি ধামকি দিয়ে বলে টাকা নিলে নাও না নিলে চলে যাও । পরে বাধ্য হয়ে টাকা নিয়েছি ।
হায়েস চালক হেলাল মিয়া দুঃখ প্রকাশ করে বলে, নির্বাচনী ডিউটি শেষে জেলা ট্রাফিক অফিস থেকে কাগজ নিয়ে বিদায় নেওয়ার সময় একটি পয়সাও দেয়নি । আমি বলেছিলাম কিছু টাকা পয়সা দেন । নয়তো কিভাবে যাবো । তখন তারা বলেছে কিভাবে যাবে সেটা আমরা জানি না । অথচ ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জে আসার সময়ই ৩ হাজার টাকার তেল খরচ হয়েছে । গাড়ি ভাড়া আছে আরো ৬ হাজার টাকা । থাকা খাওয়ার কষ্ট করেছি আবার ৯ হাজার টাকাও লোকসান হলো ।
পরিবহন চালক মনোয়ার, ইব্রাহীম খলিল, আব্দুল্লাহ শেখ, রবিউল, সুবাহান আলী সহ আরো অনেকেই ন্যায্য ভাড়া না পেয়ে মনঃক্ষুণ্য ভাবে বলেন নির্বাচনে ড্রাইভারদের খরচের টাকা দেয়, গাড়ির তেল দেয় । কিন্তু এই উপজেলা নির্বাচনে যানবাহনের বরাদ্দকৃত টাকার উপর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন কর্তৃপক্ষ হরিলুট চালিয়েছে ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, ভাড়া বাবদ সকল টাকা প্রিজাইডিং অফিসারদের দেওয়া হয়েছে । তাদেরই ভাড়া পরিশোধ করার কথা । অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবো । সেই সাথে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি ।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মুক্তার হোসেনের সাথে ¯স্বাক্ষাৎ করলে তিনি বলেন আমি পাঁচটি হায়েস চালক’কে দুই হাজার করে টাকা দিয়েছি । এছাড়া টাকা পয়সার ব্যাপার সহ সমস্ত দায়িত্ব সহকারী রিটানিং অফিসারের। আমি এসব ব্যাপারে দায়িত্বে নেই বলে এড়িয়ে যান উপজেলা নির্বাচন অফিসার ।