দেশজুড়ে

কুমিল্লায় হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, দুইজন গুলিবিদ্ধ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর

  জাগোকন্ঠ ১৬ জুলাই ২০২৪ , ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

কুবি প্রতিনিধি :মো.কাউসার:

কোটা আন্দোলনকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দিতে রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। এতে দুইজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ও কুমিল্লা জিলা স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েকহাজার শিক্ষার্থী যোগ দেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পুরনো ব্লক থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হল, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল, শেখ হাসিনা হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করে। এরপর তাঁরা মসজিদ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু হলের নতুন ব্লকে ছাত্রলীগের দেয়া তালা ভেঙে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে কোটবাড়ি মোড় অতিক্রম করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পৌঁছলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ করে ইট ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। এতে এখন পর্যন্ত দুইজন স্কুল শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন জিলা স্কুলের কামরুল হাসান সাকিব, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসিম।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন টমছম ব্রিজ রোডে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এছাড়াও বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিনা উস্কানিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে, এসময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁরা। পুলিশ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে।

এর আগে শিক্ষার্থীরা বাঁশ, পাইপ, রড ও লাঠি হাতে নিয়ে পথে পথে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, ‘আমি কে? তুমি কে? রাজাকার, রাজাকার’ কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’, ‘ছাত্রলীগের কালো হাত ভেঙে দাও, ঘুরিয়ে দাও’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ঢাবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জাবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’,‘চবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’,

এছাড়াও, আজ দুপুর ১১টায় কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ কাউসারের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গত দুইদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকাল থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন।

আরও খবর: