আন্তর্জাতিক

আরব আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ, বাংলাদেশিদের যা করতে হবে।

  জাগোকন্ঠ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১০:০৯ অপরাহ্ণ

মোহাম্মদ আরমান চৌধুরী,আরব আমিরাত প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল দুবাই ভবনে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আমিরাতে বসবাসরত অবৈধ হয়ে পড়া রেসিডেন্স ভিসাধারীদের বিনা জেল জরিমানায় অবস্থান বৈধকরণ কিংবা দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ঘোষিত সাধারণ ক্ষমা বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই সাধারণ ক্ষমা আজ ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। বিভিন্ন কারণে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি যাদের ভিসার মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে তারা এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পাবেন।

সাধারণ ক্ষমার সেবা পেতে দুবাইর ভিসাধারীদের আল-আবীর ইমিগ্রেশনে এবং অন্যান্য আমিরাতের ভিসাধারীদের সংশ্লিষ্ট প্রদেশের ইমিগ্রেশনে যেতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদেরকে ইউএই সরকার অনুমোদিত টাইপিং তাসহিল/আমের সেন্টারে যেতে হবে। দেশে যাওয়ার জন্য এক্সিট পারমিট পেতে মূল পাসপোর্ট এবং দূতাবাস/ কনস্যুলেট হতে ট্রাভেল পারমিট লাগবে।

ভিসাবিহীন থাকার জন্য কাউকে সাধারণ ক্ষমা চলাকালে কোন জরিমানা দিতে হবে না, তবে ডকুমেন্ট প্রসেসিং এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।

যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন, তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশি হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট/ দূতাবাস হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন। ভিসা নিয়মিত করা ও দেশে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এক্সিট পারমিট এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। এক্সিট পারমিট প্রাপ্তির পর ১৪ দিন তার মেয়াদ থাকবে। এতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে বায়োমেট্রিক্স স্ক্যান করার পর এক্সিট পারমিট ইস্যু করা হবে।

সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে ভিসা রেকর্ড চেক করার পর কেউ যদি ‌‌পলাতক/তা’মিম হয়ে থাকেন, তাহলে দেশে যাওযার জন্য এক্সিট পারমিট অথবা ভিসা নিয়মিত করার জন্য পুলিশ রিপোর্ট লাগবে। তবে সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে কোনো প্রকার ব্যান/নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না। সাধারণ ক্ষমার সুবিধা প্রাপ্তির জন্য আদালত থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।

প্রবাসীদের যাদের বিরুদ্ধে নিয়োগকর্তা হতে পলাতক /তা’মিম রিপোর্ট আছে তারা কি সাধারণ ক্ষমার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কনসাল জেনারেল বলেন, মামলার ধরনের উপর তা নির্ভর করবে, এক্ষেত্রে পলাতক/তা’মিম রিপোর্ট আপডেট করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ দেশে যাওয়ার জন্য এক্সিট পারমিট ইস্যু করবেন। আবেদনকারী কীভাবে তার পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, যা স্পন্সর কর্তৃক ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া হয়েছে?

এ বিষয়ে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করা হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট হস্তান্তর করবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কিছু সংখ্যক পাসপোর্ট কনস্যুলেটে/দূতাবাসে হস্তান্তর করেছে যা কনস্যুলেটে/দূতাবাসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনকারী জরিমানা মওকুফ ও ভিসা নিয়মিতকরণ কার্যক্রম শেষ করে কি সরাসরি কর্মসংস্হান ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা/আইডি কপি দাখিল করে প্রসেসিং ফি প্রদানের মাধ্যমে জরিমানা মওকুফ করা হবে এবং ছয় মাস মেয়াদি জব সিকার্স ভিসা ইস্যু করা হবে।

আমিরাতে বাংলাদেশিদের সাধারণ ভিসা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ প্রত্যাশীদের জন্য কি করণীয় সম্পর্কে কনসাল জেনারেল বলেন, সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন সাময়িকভাবে নতুন ভিসা প্রদান বন্ধ থাকবে। অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি যাদের ভিসার মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে তারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পাবেন। যারা ভিজিটে এসে ভিসা লাগায় নাই তারা সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন।

অবৈধপথে যারা আমিরাতে প্রবেশ করেছে তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশি হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট/দূতাবাস হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন।

প্রেস ব্রিফিং এ ইউএইতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক প্রতিনিধিরা, কনস্যুলেটের প্রথম সচিব প্রেস মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, প্রথম সচিব শেখ ফয়সাল আহমেদ ও কনস্যুলেট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর: