দেশজুড়ে

হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১৬ মে ২০২৩ , ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

সারাদেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে নীলফামারীর দুই উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সোমবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ, টুপামারী ও জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিসহ ঝড় শুরু হয়। এতে বসতঘরসহ পাঁচ শতাধিক গাছপালা ভেঙে যায়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা তীব্র ঝড়ে বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ খোলা আকাশের নিচে দিন পার করছেন। এছাড়া ধান, কলা, ভুট্টাক্ষেত, বাদাম, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন ও কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথাও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম।

সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের মাস্টারপাড়ার সাদিকুল ইসলাম বলেন, লাভের আশায় ধান চাষ না করে এবার কলা চাষ করেছিলাম। হঠাৎ ঝড়ে ৭ বিঘা জমির কলার গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। কলা বিক্রি করে ধান কিনতাম কিন্তু এখন আমার তো সব শ্যাষ হয়ে গেল।

dhakapost

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জলঢাকার শিমুল বাড়ি বেরুবন্দ এলাকার রহিমা খাতুন বলেন, হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ার কারণে কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়িঘরের চাল উড়ে যায়। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ায় আরও বিপদে পড়ে যাই। অন্ধকারে কোনো কিছুই উদ্ধার করা যায়নি।

একই এলাকার মর্জিনা বেগম বলেন, আমাদের দুইটা ঘর ভেঙ্গে গেছে। এখন থাকার মতো ঘর নাই। ঘরে যা ছিল সব ভিজে গেছে। রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে থাকছি।

লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের আকাশকুঁড়ি এলাকাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে।

আরও খবর: