দেশজুড়ে

সার্ক বিশেষ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ১২:২০ অপরাহ্ণ

ফেরদৌস ওনু

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এই তিন খন্ড আত্মস্মৃতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সার্ক বিশেষ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

১৬ এপ্রিল রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ফেডারেশন অফ সার্ক রাইটার্স এন্ড লিটারেচার, বাংলাদেশ চ্যাপটার আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার সম্মেলনে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এই তিনখন্ড আত্মস্মৃতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশেষ সার্ক সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এই প্রথম কোনো প্রয়াত লেখককে সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পক্ষে রামেন্দু মজুমদার ও মফিদুল হক এই পুরস্কার ও সনদ গ্রহণ করেন এবং দেশে ফেরার পর গত ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

সভায় রাজনীতিবিদ ও তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন,
বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই থেকে প্রত্যেক রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শিখার আছে। প্রত্যেক রাজনীতিবিদ ও তরুণদের বইটি পড়া উচিত।

লেখক, গবেষক, প্রকাশক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নতুন এবং বিশেষ গুণাবলীর মাত্রায় আমরা খুঁজে পাচ্ছি। সাহিত্যিক হিসাবে বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধু’ র সাহিত্যিক পরিচিতিটা তুলে ধরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, পূর্বে বঙ্গবন্ধুকে আমরা সাহিত্যিক হিসেবে ভাবতে পারিনি। কিন্তু অন্যরা ঠিকই ভেবেছে এবং পুরস্কৃতও করেছে। এটা আমাদের জন্য সত্যি দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবন্ধুকে এখনো আরও বিশেষ গুণাবলীর আলোকে আবিষ্কার করা বাকি রয়ে গেছে।

এদিনের সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কথা সাহিত্যিক মোহিত কামাল সহ বিশিষ্ট কয়েকজন।

আরও খবর: