দেশজুড়ে

শহীদদোর স্মরণে নোবিপ্রবিতে কাওয়ালী সন্ধ্যা ও শানে মোস্তফা (সাঃ) অনুষ্ঠিত!

  জাগোকন্ঠ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১:১৮ অপরাহ্ণ

মাহতাব চৌধুরী, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

শহীদদের স্মরণে নোবিপ্রবিতে কাওয়ালি সন্ধ্যা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হওয়া শিক্ষার্থীদের স্মরণে এবং বন্যার্তদের পুনর্বাসনে আর্থিক সহযোগিতা সংগ্রহে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ এর মঞ্চের উদ্যোগে কাওয়ালি ও শানে মোস্তফা (সা.) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নোবিপ্রবি সাধারণ শিক্ষার্থীরা কাওয়ালি গান ও বিপ্লবী গান পরিবেশন করেন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। কবিতা, কাওয়ালি ও বিদ্রোহী গানের অনুষ্ঠানটিতে নামে ছাত্র-জনতার ঢল।

কাওয়ালি সন্ধ্যার এ আসরে কুন ফায়া কুন, নিজামুদ্দিন আউলিয়া, দামাদাম মাস্ত কালান্দার, ছেড়ে দে নৌকা আমি যাব মদিনা, মাওলা ইয়া সল্লিয়ালা, ত্রি-ভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলোরে দুনিয়ায়সহ বেশ কিছু গান ও বিদ্রোহী কবিতা পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

আয়োজনের শুরুতে ২৪ এর মঞ্চে উদ্যোগে বিগত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক নির্যাতিত এবং নিপীড়িত আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদকে সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

ফয়েজ শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত চোখের পানি ফেলে এক দফতর থেকে অন্য দফতরে দৌড়িয়েছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন কুকুরের দাম ছিল, আমার দাম ছিল না। আপনারা যখন আমাকে এ মঞ্চে থেকে ভালোবাসা দিয়ে বরণ করতে এসেছেন ঠিক তখনই আপনাদের থেকে বিদায় নেয়ার পালা। খুব শীঘ্রই বিদেশের অন্য একটি ইউনিভার্সিটিতে পাড়ি জমাবো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেয়ার চেষ্টা করবে বলে আশাকরি।’

এ সময় তার পাশে থাকার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২৪ এর মঞ্চ ও সচেতন ছাত্র সমাজকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাস জীবনে কয়েকবছরেও এরকম গানের আসর দেখেনি নোবিপ্রবিয়ানরা। সবাই নিজ নিজ ইচ্ছামতো গানের সুরে সুর মিলিয়ে উপভোগ করছে। দীর্ঘদিন পর এই গানের আসর যেন ক্যাম্পাসকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছে।

কাওয়ালি ও শানে মোস্তফায় (সা.) অংশ নেয়া সাইফুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া অনেক শিক্ষার্থী আহত এবং নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতিতেও ছাত্ররা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এমন এক আয়োজন যেন সবার মাঝে তারুণ্যের সেই পুরোনো স্বাদ ফিরে এনে দিয়েছে।’

উল্লেখ্য,অনুষ্ঠানটি শহীদ মিনারে শুরু হলেও বৃষ্টির বাধার কারণে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে স্থানান্তরিত করা হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনতা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।

আরও খবর: