দেশজুড়ে

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, ১৭ দিনেও চাল পাননি জেলেরা

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১০ জুন ২০২৩ , ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ

সাগরে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এই সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের গড়ে ৫৬ কেজি করে ভিজিএফের চাল দেওয়ার কথা থাকলে তা পাচ্ছেন না তারা। ফলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেকার হয়ে পড়ার পাশাপাশি চাল না পেয়ে পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবন পার করছেন উপকূলের জেলেরা।

জানা যায়, জেলার তালতলী উপজেলার ৮ হাজার ৭২১ জেলের মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জেলে বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির চাল পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় নিবন্ধিত ৫ হাজার ২০০ জেলেকে গড়ে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও সেই চাল পাননি জেলেরা। ফলে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।

তালতলীর এফবি আল্লাহর দান ট্রলারের মালিক রুবেল বলেন, আমার এই ট্রলারে ২১ জন লোক আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত, মাছ ধরে সেই ঋণ পরিশোধ করে। এখন এই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মাছ ধরতে না পারলে তাদের এই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবে। তাই এই জেলেদের চালটা দ্রুত দিয়ে দিলে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট দূর হবে।

dhakapost

জেলে সুমন হাওলাদার বলেন, মোগো দেশে আইয়া এই সুজোগে ভারতের জাইল্লারা মাছ দইরা লইয়া যায় আর মোরা না খাইয়া থাহি। মোগো কষ্ট দ্যাহার কেউ নাই। ঘরে চাউল নাই। গুরাগারা (ছেলেমেয়ে) লইয়্যা কষ্ট হরি। সরকার চাউল দেছে। হ্যা এহনো পাই নাই। তাই গুরা গারা লইয়া খাইয়া পইরা বাইচা থাকার জন্যে দ্রুত চাউল দেয়ার দাবি হরি।

তালতলীর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন, আমাকে তালতালী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখনো বুঝে নেইনি তাই এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলতে পারবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, গভীর সমুদ্রে যেসব জেলেরা মাছ শিকার করে, একমাত্র তারাই এই চাল পাবে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে তাদের তালিকা তৈরি করে খুব শিগগির জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর: