দেশজুড়ে

মসজিদ-মাদরাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত, ২ শিক্ষকের বেতন স্থগিত

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ২০ জুলাই ২০২৩ , ৩:২৭ পূর্বাহ্ণ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভুয়া রেজুলেশন ও স্বাক্ষর জাল করে মসজিদ ও মাদরাসা নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাদরাসা সুপার অহিদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মো. তাফাজ্জুল হোসাইন বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী। 

অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকল্পের সভাপতি অহিদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক তাফাজ্জুল হোসাইনের বেতন স্থগিত করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বাকি বিল্লাহ, সহকারী প্রকৌশলী শুভঙ্কর মন্ডল ও সোহেল রানা।

জানা গেছে, বারইখালী ইউনিয়নের মধ্য জোমাদ্দারপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দান উন্নয়ন, বারইখালী-সুতালড়ী জামে মসজিদ উন্নয়ন ও বিএসএস দাখিল মাদরাসার উন্নয়নের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ থেকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। ওই টাকা উত্তোলনে প্রকল্পে ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিটি কমিটিতেই মাদরাসা সুপার অহিদুজ্জামান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মো. তাফাজ্জুল হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ উত্তোলন করে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে জালিয়াতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার দাবি জানানো হয়।

এমনকি বিএসএস দাখিল মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকলেও তার নামের স্থলে ফখরুল ইসলামকে সভাপতি দেখানো হয়েছে।

জোমাদ্দা পাড়া বাইতুন নুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের মসজিদ কমিটির কেউ জানেন না যে আমাদের মসজিদের নামে দুই লাখ  টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। যারা এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত  ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক ও মাদরাসার সহকারী শিক্ষক তাফাজ্জুল হোসাইন বলেন,  তিনটি  প্রকল্পের কোনোটাতেই আমি স্বাক্ষর করিনি। যদি কেউ আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার মো. অহিদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরও খবর: