জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ৩ জুন ২০২৩ , ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ
বাফুফের ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন মে’র মাঝামাঝি। তিনি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হলেও, ২০১৬ সালে বাফুফেতে প্রবেশের পর থেকেই বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। নারী দলের প্রতিটি অনুশীলনেই থাকতেন তিনি। তবে গতমাসে সিঙ্গাপুরে এএফসি অ-১৭ বাছাইয়ের প্রথম পর্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পরে পল আর নারী ফুটবল দলকে অনুশীলন করাচ্ছেন না।
নারী দলের সঙ্গে গত বছর থেকে যোগ হয়েছে বাফুফের এলিট একাডেমির অনুশীলন। সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফিরে ছুটিতে যান পল স্মলি। ছুটি থেকে ফিরেছেন সপ্তাহ দুয়েকের বেশি। নারী দলের মতো এলিট একাডেমিতেও অনুশীলন করাচ্ছেন না পল। এলিট একাডেমির বর্তমান অনুশীলন নিয়ে বাফুফের কোচ পাপ্পু জানান, ‘পল স্যার কিছুদিন অনুশীলন করাচ্ছেন না। তিনি সশরীরে না করালেও তার নির্দেশনাতেই আমরা অনুশীলন করাচ্ছি।’
পল স্মলি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে বাফুফেতে কাজের পরিবেশ নেই বলে চলে যেতে চেয়েছিলেন। পল চলে যেতে চাইলেও বাফুফে সভাপতি তাকে রাখার জন্য মরিয়া। এর প্রেক্ষিতে পল বর্তমান বেতনের চেয়ে আরও বেশি দাবি করেছেন। এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহ দু’পক্ষের মধ্যে চলছে দর-কষাকষি। বাফুফে ভবনে এসে জিমে গিয়ে পল নিজে সাইক্লিং করেন, ফেডারেশন সভাপতি ও নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করলেও মাঠের অনুশীলনে যাচ্ছেন না। এতে বাফুুফের অন্য কোচিং স্টাফদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের কয়েকজন কোচ বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা তাকে অনেক সফল মনে করেন। তিনি এত সফল হলে পুরুষ জুনিয়র দল নিয়ে কয়েকটি টুর্নামেন্টে গিয়েছিলেন, সেখানে চ্যাম্পিয়ন হলো না কেন বাংলাদেশ?’
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর রয়েছে বাফুফে সহ-সভাপতি ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহীর। কাজের পরিবেশ নেই, বেতন বেশি চাওয়া কোনোকিছুই আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে মহীকে অবগত করেননি পল। সব আলোচনাই সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে করেছেন। পলের বেতন বৃদ্ধি বা অব্যাহতি যেটাই হোক, সেই সিদ্ধান্ত বোর্ড সভার মাধ্যমে হওয়া উচিত বলে মনে করেন মহী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘কিছুদিন আগে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হলো। সেই সভা নারী ফ্রাঞ্চাইজ নিয়ে না করে পল-ছোটন বিষয়ে হওয়া উচিত ছিল। এই বিষয়টি এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি দ্রুত সুরাহা হওয়া দরকার।’
গত ২৮ মে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির কারণ দেখিয়ে ছোটন বাফুফে থেকে পদত্যাগ করেছেন। এটি অফিসিয়াল কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও মূল বিষয় পলের কারণে সৃষ্ট অস্বস্তি। পল নারী ও এলিট একাডেমির ফুটবলারদের কাছে একাধিকবার চলে যাচ্ছেন বলে বিদায় নিয়েও ফেডারেশনের সঙ্গে সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। অথচ তিনি অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন না। ছোটন ও পলের অনুপস্থিতিতে গত এক সপ্তাহ সহকারী কোচ মাহবুবর রহমান লিটু অনুশীলন করিয়ে যাচ্ছেন।