দেশজুড়ে

ডামুড্যায় ড্রেনেজব্যবস্থা না থাকায় দুর্গন্ধে ভোগান্তি স্কুল শিক্ষার্থীদের,দেখার কেউ নেই

  জাগোকন্ঠ ১৩ জুলাই ২০২৩ , ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

ডামুড্যা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর:

ডামুড্যা পৌরসভায় এক ইতালী প্রবাসীর বসত বাড়ির ময়লার হাউজের পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে। নাক ধরে ও পায়ে পড়া স্কুলের কেইডস খুলে হাতে নিয়ে ক্লাসে যাচ্ছেন কেউ। আবার দুর্গন্ধের কারনে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও শিক্ষার্থীরা নানা রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিষটি যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মদীনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার সড়কটি একটি বিল্ডিং বাড়ির ময়লার হাউজের পানিতে রাস্তা ভিজেরডুবে আছে। পাশেই আলহাজ ইমামুদ্দীন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। ময়লারপানির উপর দিয়ে কষ্ট করে দুর্গন্ধ সহ্যকরে স্কুল মাদ্রাসায় যাচ্ছে। ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র রাজা ছৈয়ালের ভাই স্বপন ছৈয়াল এক ইতালি প্রবাসী বাড়ি শুয়ারেজ লাইন এবং পানি নিশ্কাসনের সকল ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছেন।যার কারনে বাড়ির সামনে পাকা সড়কের উপর দিয়ে পচা ময়লা পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারনে দুর্গন্ধে একটি মাদ্রাসা ও দুইটি স্কুল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। অনেক স্টুডেন্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ও ক্লাসে অনিয়মিত হচ্ছে। বিষটি নিয়ে ডামুড্যা পৌরসভা মেয়রের, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি, সহকারী কমিশন ভুমি কারো কাছে বিবার চেয়েও কোন বিচার পাননি ভুক্তভোগী ইতালি প্রবাসী খোকন সরদার।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,ডামুড্যা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৯৪৭ নং দলিল মুলে ডামুড্যা পৌরসভার ০৩ নং ওয়ার্ড এ আপনার ইমাম উদ্দিন স্কুল সংলগ্ন একটি বিল্ডিং এর ৩য় তলা বিশিষ্ট ভবনের একটি খাড়া দুই ইউনিটের একাংশ সাফ কবলা দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করিয়া উপরে আরো ০১ প্রসারিত করেন খোকন ছৈয়াল। , দির্ঘদিন যাবত পানি নিষ্কাশনের সকল প্রক্রিয়া এবং নাগরিক সকল সুবিধা থেকে জোর পূর্বক বঞ্চিত করে রেখেছেন বিবাদী স্বপন ছৈয়াল নেই।

মদীনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার সহকারী শিক্ষক রিফাত হোসাইন বলেন, আসলে প্রতিদিন এই রুট দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এবং ছাত্রছাত্রীরা ও রুট দিয়ে যাতায়াত করে। খুবই দুর্গন্ধ এবং বিরক্তিকর এবং রোগ বালাই আক্রান্ত হওয়ার একটি পরিবেশ। দ্রুত একটি ড্রেনের ব্যবস্থা না করলে এই বাড়িওয়ালার তাহলে আমাদের সকল কি রোগে আক্রান্ত হতে হবে।

বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন এখান দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে গেলে অনেক দুর্গন্ধ পেতে হয় এবং এতে আমাদের অনেক রোগ বালাই হচ্ছে তাই এই বাড়ির ড্রেনটি যদি মূল ড্রেনের সাথে একটি সংযোগ করে দেয়া হয় তাহলে আমাদের এই অসুবিধা হবে না পরিবেশ দূষিত হবে না।

মাদ্রাসার স্টুডেন্ট রবিউল বলেন,আমরা প্রতিদিন মাদ্রাসা যাওয়ার পথে এখানে পিছলা কি পড়ে যায় এবং অনেক গন্ধ কাপড়চোপড়ও মাঝে মাঝে ভিজে যায়। এই রোড দিয়ে মশা হওয়ার উপদ্রব বেড়েছে আমরা মশার কামড় খায় মাঝে মাঝে। দ্রুত একটি ড্রেন করে এই ময়লা পানি গুলো বের করার ব্যবস্থা করা দরকার।

 

এ বিষয়ে স্বপন ছৈয়াল বলেন,আমারা রাস্তায় জায়গায় দিয়েছি। তাই রাস্তার পাশ দিয়েও খোকন ছৈয়াল কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিতে দিব না। আর আমার ভাইয়ের থেকে জমি কিনেছে খোকন সরদার। কিন্তু আমার ভাই যতটুকু বিক্রি করেছে ততটুকু পাবে না আমার ভাই। তাই আমি কোর্ডে মামলা করবো।

এ বিষয়ে ডামুড্ডা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ রাজা ছৈয়াল বলেন,আমার ভাই স্বপন ছৈয়ালকে ওই খোকন সরদার খেপাইয়া ফেলছে। কারণ জায়গাগুলো আমাদেরই ছিল এখন আমার এক ভাইয়ে মারা যাওয়ার পরে খোকন সরদারের কাছে বিল্ডিং সহ জায়গা বিক্রি করা হয়েছিল। তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে আমি এই বিষয়ে আমার ভাই স্বপনকে অনেক বোঝাচ্ছি আপনারা একটু সময় দেন আমি দ্রুত সমাধান করে দেব।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন,আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন খোকন সরদার। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকলে তো দুর্গন্ধ ছড়াবে এ বিষয় নিয়ে স্বপন এবং খোকন এরা একসাথে একটি দরবার বসেছিল। আমি সহ সেখানে সার্বেয়ার ভূমি অফিসের লোক দলিলপত্র যাচাই করে দেখে খোকন সরদারের. ৪৬ জমি পাওনা হয়ে যায় স্বপন ছৈয়ালদের কাছে। তারপরে ও স্বপন ছৈয়াল ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিতে দিচ্ছে না। আমি স্বপনের ভাই মেয়র রাজা সাহেবকে বলতেছি। তিনি তো বিষয়টি মিট করার কথা বলেছিলেন। তবে আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটালে কেউ ছাড় পাবেনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিবা খান বলেন,আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ইটালি প্রবাসী খোকন।কিন্তু মেয়র এর ভাই স্বপন ড্রেন বের করতে দিচ্ছে না খোকনকে । বিষয়টি আমি মেয়রের ভাই যেহেতু তাই মেয়রকেই ভেঙ্গে দিতে বলেছিলাম। তবে ইস্কুল শিক্ষার্থীদের যদি কোন অসুবিধা হয় যাতায়াতে তাহলে এই বিষয়টা আমার দেখা উচিত আমি এই বিষয়টা দেখব।

আরও খবর: