দেশজুড়ে

গাজীপুর সিটির নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন কামরুল আহসান রাসেল সরকার 

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

  •  গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে মনোনীত নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মো: কামরুল আহসান সরকার রাসেল বুধবার দুপুরে রাজধানী ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তিনি দখলবাজীতে নাই, দান্ধাবাজিও করেননা। মানবিক, সামাজিক মানুষ হিসেবে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করেন তিনি। তিনি ক্লিন ইমেজের একজন মানুষ। এবার আসন্ন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তিনিও আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন আশা করেন। রোববার তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে আলোচনা-সমালোনার উর্ধ্বে থেকে মনোনয়ন বোর্ড যদি ইয়ং জেনারেশন এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খোঁজেন তবে তার নামই সকলের মুখে মুখে শুনা যায়।
গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল বলেন, শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে আমি জানি তিনি আপামোর জনসাধারণের মনের কথাগুলো সব অনুধাবন করতে পারেন। সে কারণেই আমার আত্মবিশ্বাস সবচে’ বেশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের মানুষের মনের যে আশা/প্রত্যাশা পূরণ করার জন্যই এবারের নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেবেন। আমি শতভাগ আশাবাদী এবারের গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাবো।
রাসেল সরকার বলেন, ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে যুব রাজনীতিসহ আওয়ামীলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এবং অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আমি দলের শক্তিশালী ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি। সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে আক্রান্ত তখন আমাদের দেশেও করোনা মহামারির কঠিত পরিস্থিতিতে পড়ি। সে সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। করোনাকালে আমি মহানগরের অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে ছিলাম। খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বারবার তাদের কাছে গেছি। করোনাকালে কৃষক যখন ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিল না তখন আমি কৃষি শ্রমিকার ভূমিকা অবতীর্ণ হয়ে মহানগরের যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে নিজেও কৃষকদের ধান কেটে মাড়াই করে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছি। আমাদের মহানগরীর নিচু ও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। যার ফলে গাজীপুর মহানগরীর তৃনমুল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে আমার প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ রয়েছে। মানুষ আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের পজিটিভ চিন্তাভাবনা করেন। এ কারণে আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন বলে বিশ্বাস রাখি।
রাসেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, আমাদের দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। তাঁর এ ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে আমি সিটিতে যাদের জমি আছে ঘর নেই, তাদের খুঁজে বের করে আমার সাধ্য অনুযায়ি কিছু মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। করোনাকালে আমরা সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় পড়েছিলাম তা হলো অক্সিজেন সংকট। এ সময় হাসপাতালগুলোও এ অক্সিজেন সরবরাহ দিতে হিমশিম খাচ্ছিল। এমতাবস্থায় আমি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ফ্রি অক্সিজেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছিলাম। সেখানে ৫০জন প্রশিক্ষত নেতা-কর্মী ছিল। তারা আমার সঙ্গে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়েছে। কোন রোগীর অক্সিজেনের জন্য ফোন দেয়া মাত্র আমার নেতা-কর্মীরা সেখানে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছে এবং সেবা দিয়েছে। এমনইভাবে করোনাকালে অসহায় রোজাদারদের কাছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইফতার নিয়ে ঘুরেছি। অসহায়, পঙ্গু ও পিছিয়ে পড়া মানুষের হাতে ইফতার পৌঁছে দিয়েছি। অসহায়-পঙ্গু ব্যক্তিদের আমি হুইল চেয়ার কিনে দিয়েছি। বিধবা ও কর্মহীন নারীদের আমি সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছি। এভাবে মানবিক কর্মকান্ডে আমি দীর্ঘদিন জড়িত রয়েছি। এসব বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে তাঁর সম্মান রাখতে পারবো ইনশাল্লাহ। মেয়র হিসেবে জয়লাভ করবো বলে আশা করি।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, গাজীপুর জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান সরকার, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিপুর সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ক্রীড়াসংগঠন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর: