আন্তর্জাতিক

কর্ণাটকে গরু ও হিজাব নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ৭ জুন ২০২৩ , ৩:৩১ পূর্বাহ্ণ

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে বিজেপির শাসনামলে গরু জবাইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে রাজ্যটিতে আইন করা হয়— যদি কেউ গোহত্যা করেন তাহলে তাকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

সেই কর্ণাটকে বিজেপিকে হারিয়ে গত মে মাসে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের একজন মন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাজ্যে গরু জবাই আইন তুলে দেওয়া হতে পারে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা আছে— প্রয়োজন হলে সেটিও রদ করা হবে।

প্রিয়ঙ্ক খার্গে নামের এই মন্ত্রী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে মঙ্গলবার (৬ জুন) এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, গোহত্যার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা বর্তমানে রয়েছে, এটি রাজ্যের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিশাল বাধা, যা অর্থনীতির ওপর বিশাল বোঝা চাপাচ্ছে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, গরু জবাই, বেঁচা-কেনা বন্ধ করার কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে এটি কংগ্রেসের কোনো মতামত নয়। সদ্য বিদায়ী বিজেপি সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ই এ কথা জানিয়েছিল।

কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত এ জনপ্রতিনিধি আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র গরু ও হিজাব নয়— বিজেপির আমলে আরোপিত যেসব আইনই ‘পশ্চাদগামী’ এবং রাজ্যের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বাধার কারণ হবে সেগুলোই পরিবর্তন করা হবে।

তবে এসব আইন পরিবর্তন করতে গিয়ে যদি রাজনৈতিক চাপ আসে তখন কী করবেন এমন প্রশ্ন করা হয় প্রিয়ঙ্ক খার্গকে। এর জবাবে তিনি জানিয়েছেন, আইন পরিবর্তনের এ চিন্তা-ভাবনা কোনো রাজনৈতিক নয়। এটি পুরো অর্থনৈতিক বিষয়। তার দাবি গোহত্যা বিরোধী আইন করা হয়েছিল— ‘নাগপুরের মনিবদের’ সন্তুষ্ঠ করার জন্য। এই আইন খামারি বা এর সঙ্গে জড়িত কারওই উপকার করেনি।

শুধু গোহত্যা নয় গরুকে বাঁচানোর জন্য বিজেপি সরকার আরও যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেগুলোও অর্থনীতির জন্য ভালো ছিল না বলে জানিয়েছেন খার্গ। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি প্রতিটি গরুর খাবারের জন্য প্রতিদিন ৭০ রুপি করে বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছিল। মানে রাজ্যের ১৭ লাখ গরুর জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ২৪০ কোটি রুপি।’

রাজনৈতিক চাপের ব্যাপারে খার্গ বলেছেন, তারা মে মাসের নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ম্যানডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় রাজ্য ও সাধারণ মানুষের উপকারের জন্য যা প্রয়োজন তার সবই করবেন।

সূত্র: এনডিটিভি

আরও খবর: