দেশজুড়ে

এক্সরে করে গৃহবধূর পেটে মিলল ৩২৪০ পিস ইয়াবা

  জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ১১ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:৪২ অপরাহ্ণ

নোয়াখালীতে অভিনব কায়দায় পেটের ভেতর মাদক নিয়ে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালী আসার পথে সীমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরে তার পেট থেকে তিন হাজার ২৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সীমা আক্তারকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর ইয়ারপুর এলাকায় বাঁধন পরিবহনের বাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সীমা আক্তার টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়াপাড়া গ্রামের ফকির আহমদের মেয়ে ও ইসমাইল হোসেন ওরফে শাহ আলমের স্ত্রী।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে নোয়াখালী সদরের বিনোদপুর এলাকার উদ্দেশে একজন নারী আসছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ইয়ারপুর এলাকায় তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। এ সময় ফেনী থেকে মাইজদীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাঁধন পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাস থেকে সীমা আক্তার নামে ওই নারীকে তার শিশু সন্তানসহ আটক করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ বা দেহে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন তার পেটের মধ্যে ইয়াবা রয়েছে। পরবর্তীতে তাকে মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এনে এক্সরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকের সহযোগিতায় ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ৭২টি প্যাকেটে ইয়াবা জব্দ করা হয়। প্রতি প্যাকেটে ৪৫ পিস করে মোট ৩ হাজার ২৪০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সীমা আক্তার বিশেষ কায়দায় পেটের ভেতর করে টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। ইয়াবার এ চালানটি বিনোদপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে হস্তান্তর করতে তিনি নোয়াখালীতে আসেন। সীমা এবং বিনোদপুরের ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মাদক মামলায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সীমা আক্তারকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

আরও খবর: