দেশজুড়ে

আমতলীতে ভুয়া অথোর্পেটিক্স চিকিৎসক সেজে রোগীর ভালো পায়ে প্লাস্টার!

  জাগোকন্ঠ ২২ জুন ২০২২ , ১:৩০ অপরাহ্ণ

রোগী মরিয়ম বেগমের পা ভেঙ্গে গেছে বলে ভালো পায়ে প্লাস্টার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া অথোর্পেটিক্স চিকিৎসক সেজে মোঃ জহিরুল ইসলাম লিটন ভালো পায়ে এ প্লাস্টার করেছেন। এ ঘটনায় ভুয়া চিকিৎসক লিটনের বিচার চেয়ে রোগী মরিয়ম বেগমের স্বজন মোঃ আক্কাস প্যাদা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবল্পনা কর্মকতার্র কাছে অভিযোগ করেছে। ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য কর্মকতার্ তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন। বুধবার তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছেন।


জানাগেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন আমতলী ডিজিটাল ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম লিটন দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া অথোর্পেটিক্স চিকিৎসক সেজে রোগীদের অপ—চিকিৎসা দিয়ে আসছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। গত ১৬ জুন উপজেলার দক্ষিণ রাওঘা গ্রামের পায়ে ব্যাথা নিয়ে মোঃ মরিয়ম বেগম নামের এক নারী রোগী আমতলী ডিজিটাল ডায়গনিস্টিক সেন্টারে আসেন। ওই সময় মোঃ জহিরুল ইসলাম লিটন নিজেকে অথোর্ডেটিক্স বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলে পরিচয় দেয়। পরে ওই রোগীর বাম পা ভেঙ্গেছে বলে ভালো পায়ে প্লাস্টার করে এক হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। প্লাস্টারের পরপরই রোগীর পায়ের প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হয়। চারদিন পরে গত সোমবার তিনি ডাঃ হারুন অর রশিদের সরান্নপন্ন হয়। ওই ডাক্তার তার পা ভাঙ্গেনি বলে প্লাস্টার খুলে ফেলেন। এ ঘটনায় রোগী মরিয়মের স্বজন মোঃ আব্বাস প্যাদা মঙ্গলবার ভুয়া চিকিৎসক মোঃ জহিরুল ইসলাম লিটনের শাস্তি দাবী করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্র কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য কর্মকতার্ আব্দুল মুনয়েম সাদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন খন্দকারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটি বুধবার তদন্ত শুরু করেছে।

রোগী মরিয়ম বেগম বলেন, মোরডে গোনে এক আজার টাহা নিয়া ডাক্তার লিটন কয় অ্যামনের পাও ভাইঙ্গা গ্যাছে। অ্যামনের পা বানতে অইবে। মুই সরল বিশ্বাসের হ্যার কতায় পা বানতে রাজি অইছি। হে মোর পা বাইন্দা দেছে। হ্যারপর দেহি মোর পায়ের মধ্যে এ্যাকছের ব্যতা হরে। পরে অন্য ডাক্তার দ্যাহাইছি। হে কইছে মোর পাও ভাঙ্গে না। পায়ের বান্দন খুইল্লা হালাইছি পর মোর পায়ে ব্যতা হরে না। মুই এ্যাইয়্যার বিচার চাই।

ভুয়া অথোর্পেটিক্স বিশেষজ্ঞ পরিচয় দেয়া চিকিৎসক মোঃ জহিরুল ইসলাম লিটন রোগীর পায়ে প্লাস্টার করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি অথোর্পেটিক্স না। গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে পায়ে প্লাস্টার করেছি। তিনি আরো বলেন, তদন্ত কমিটি আমাকে নোটিশ দিয়েছেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তদন্ত কমিটির প্রধান ডাঃ সুমন খন্দকার বলেন, তদন্ত শুরু করেছি। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। প্রতিবেদন পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর: