জাতীয়

৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষার পর মিলেছে ‘টিকিট’

  জাগোকন্ঠ ৪ জুলাই ২০২২ , ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে বিক্রি হচ্ছে ঈদের অগ্রীম টিকিট। সোমবার (৪ জুলাই) দেওয়া হচ্ছে ৮ জুলাইয়ের টিকিট। অগ্রীম টিকিট বিক্রি শেষ হবে আগামীকাল ৫ জুলাই।

সোমবার সকালে কমলাপুর প্রধান রেলস্টেশনের ঘুরে টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা আজ টিকিট পেয়েছেন তাদের মূলত অপেক্ষা ছিল ৭ জুলাইয়ের টিকিটের। কিন্তু সেটি না পেয়ে তারা পেয়েছেন ৮ জুলাইয়ে টিকিট। এর জন্য বেশির ভাগ টিকিট প্রত্যাশীক অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৮ ঘণ্টা থেকে তারও বেশি সময়। তবুও তারা খুশি এজন্য যে অবশেষে ঈদে বাড়ি যাওয়ার ট্রেনের টিকিটটা নিশ্চিত করতে পেরেছেন।

টিকিট প্রত্যাশী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ২ তারিখ সকাল ১০টায় এসেছিলাম ৩ তারিখের টিকিট কাটার জন্য। টিকিট লাগবে ৭ জুলাইয়ের। কিন্তু ওইদিনের টিকিট পাইনি। ৩০/৩৫ জন থাকতেই টিকিট শেষ হয়ে যায়। পরে আজকের জন্য আবার লাইন দিই। অবশেষে ৪৬ ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের একটি টিকিট পেয়েছি। তাও নির্দিষ্ট গন্তব্যের না, রংপুর পর্যন্ত। দেখে যেটা মনে হলো, লাইনের প্রথম ৬০/৭০ জনই আসলে টিকিট পান। এরপর বাকিরা আবার পরবর্তী দিনের অপেক্ষায় থাকেন।

আরেক টিকিট প্রত্যাশী মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান বলেন, আমি ২ তারিখ দুপুর ২টায় এসেছিলাম ৭ তারিখের টিকিটের জন্য। কিন্তু টিকিট পাইনি। পরে আবার সিরিয়াল দিয়ে আজকে টিকিট পেলাম সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের সিরাজগঞ্জ স্টেশনের। অনলাইনেও অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু টিকিট পাইনি। একটা ট্রেনের ১০/১২টা বগি থাকে। কিন্তু এতো টিকিট যায় কোথায়?

তিনি বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের টিকিট আলাদা রাখুক। আমাদের টিকিটগুলো আমাদের দিক। তারা আমাদের টিকিটের মধ্যেও ভাগ ধরে।

নীলফামারীর টিকিট প্রত্যাশী রাজু আহমেদ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন অপেক্ষা করে। আর ফাঁক পেলেই বুকিং সহকারীরা টিকিট মেরে দেয়। মনিটরে দেখলাম, একজন ৪টি টিকিট কিনলে তার ফাঁকে ২টি টিকিট অতিরিক্ত ইস্যু করে তারা। হয়তো অনেকে বিষয়টি বোঝেও না। অনেক কষ্টে নীলসাগর এক্সপ্রেসের ২টি টিকিট পেয়েছি।

পুরো স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ৮ জুলাইয়ে টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি। যার ফলে আজ ৪ জুলাই কমলাপুর প্রধান স্টেশনে অনেকটা ভিড় ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের। লাইন ছাড়িয়ে গিয়েছিল স্টেশনের বাইরে।

আরও খবর: